Telemedicine বাঁচাচ্ছে প্রাণ, স্ট্রোকের রোগীর জীবন রক্ষায় কী নজির রাজ্যের?

চিকিৎসকরা বলেন, ঘটনা ঘটার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু হলে, টেলিস্ট্রোকে সাফল্যের হার প্রায় ৬০ শতাংশ।

February 14, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দূরদূরান্তের এক হাজার স্ট্রোকের রোগীর জীবন বাঁচিয়ে নয়া নজির গড়ল বাংলার স্বাস্থ্যদপ্তর। ২০২২ সালের এপ্রিলে বাংলায় টেলিমেডিসিনের সাহায্যে স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু হয়। সোমবার হাজারতম স্ট্রোকের রোগীকে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে জীবনে ফেরান চিকিৎসকরা।

বাংলার পর একাধিক রাজ্য টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু করে। টেলিস্ট্রোক কর্মসূচির পরামর্শদাতা প্রধান কেন্দ্র হল বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস। রোগীকে পরিষেবা প্রদানকারী কেন্দ্র হল ছোট, বড়, মাঝারি অন্যান্য হাসপাতালগুলি। বাঙ্গুরের সঙ্গে ধীরে ধীরে ৩৮টি হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে। অধিকাংশ জেলা এবং মহকুমা হাসপাতাল টেলিস্ট্রোক নেটওয়ার্কের আওতায় এসে গিয়েছে। শর্ত ছিল একটাই, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টার সিটি স্ক্যান পরিষেবা থাকতে হবে। মনে করা হচ্ছে, আরও কিছু ২৪ ঘণ্টার সিটি স্ক্যান পরিষেবাযুক্ত হাসপাতাল শীঘ্রই এই নেটওয়ার্কে সামিল হবে। চিকিৎসকরা বলেন, ঘটনা ঘটার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু হলে, টেলিস্ট্রোকে সাফল্যের হার প্রায় ৬০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী আসলে, সিটি স্ক্যান করে নেন চিকিৎসকরা। তারপর সেই রিপোর্ট বাঙ্গুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদি দেখা যায় রোগী ইস্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত এবং টেলিস্ট্রোকের চিকিৎসা সম্ভব, সেক্ষেত্রে বাঙ্গুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে
থ্রম্বোলাইসিস প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালিতে জমাট বাঁধা রক্ত সরানোর চিকিৎসা শুরু হয়। টেনেকটেপলেস এবং এলটেপলেস, রোগীকে দু’ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। দু’টি ইঞ্জেকশনের বাজার দর প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য দপ্তর তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen