রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শ্যামপুকুরে দত্তদের নাটমন্দিরে দোল খেলেন রাধা-কৃষ্ণ

March 23, 2024 | < 1 min read

শ্যামপুকুরে দত্তদের নাটমন্দিরে দোল খেলেন রাধা-কৃষ্ণ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শ্যামপুকুরে (Shyampukur) রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটে দত্ত পরিবারের বনেদি বাড়ি। দত্তদের আজও বিশ্বাস, গর্ভগৃহ থেকে রাধা‑কৃষ্ণ বেরিয়ে পড়েন পূর্ণিমার দিন। চলে আসেন প্রাচীন নাটমন্দিরে। সেখানে ভক্তরা দোল খেলায় মত্ত। তাঁদের সঙ্গে হোলি খেলায় মগ্ন হন রাধা-কৃষ্ণ।

এই পরিবারে প্রতিষ্ঠিত ‘শ্রীশ্রী রাধা বিনোদ কিশোর জিউ’। দোলে দেবতাকে সাজানো হয় রাজবেশে। এখানে শ্রীকৃষ্ণের অষ্টধাতুর মূর্তি। তাঁকে পরানো হয় ধুতি, উত্তরীয় আর অলঙ্কার। রাধা পরিধান করেন জমকালো শাড়ি, গয়না। মন্দির সাজে ফুল‑মালা‑আলোয়। দত্ত বাড়ির দোল উৎসবে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। সঙ্গে আনেন ফুল, ধূপ‑বাতি, আবির, মঠ, ফুটকড়াই ও ফল‑মিষ্টি। পুজোর পর দেবতাকে নিবেদন করা হয় নানা পদের ভোগ। দত্ত পরিবারের সদস্য একাশি বছরের রবীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, ‘দোলে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় দেবতাকে। মিষ্টি ও ফল তো থাকেই পাশাপাশি দুপুরে দেবতাকে নিবেদন করা হয় সাদা ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি, চাটনি ও পায়েস। রাতে লুচি, তরকারি, মিষ্টি। লুচি থাকে ২৫টা। পাঁচটি থালা নিবেদন করা হয় রাধা, কৃষ্ণ, গোপাল, জগন্নাথ ও নারায়ণকে।

দত্তদের বাড়ি ছাড়িয়ে কাশীপুরের দিকে এগলে পড়ে রাসবাটি। সেখানে রাধা কৃষ্ণকে বাড়ির নাটমঞ্চে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা সেখানে বসে ভক্তদের দোল খেলা দেখেন। থাকেন কয়েক ঘণ্টা। তারপর ফিরে যান রাসবাটির মূল মন্দিরে। রাসবাটিতে দোলের আগের দিন সন্ধ্যায় রাসমঞ্চে নারায়ণ শীলাকে সাক্ষী করে শুরু হয় চাঁচর। দোলের ভোরবেলা হয় দেবদোল। সেখানে নাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে বিগ্রহ নাটমঞ্চে নিয়ে আসা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#dol yatra, #Radha and Krishna, #Shyampukur

আরো দেখুন