মহুয়া দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বলেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, মনে করছে TMC
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার আলিপুর থেকে কৃষ্ণনগরের সাংসদ কার্যালয়। তারপর সন্ধ্যায় করিমপুরের বাড়িতে। শনিবার দিনভর মহুয়া মৈত্রের তিন ঠিকানায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
তারপরই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি, সিবিআই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাঁকে সর্বসমক্ষে হেনস্থা করছে। একটি চিঠি দিয়ে কমিশনকে সিবিআইয়ের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেও বলেছেন মহুয়া। তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনী বিধি জারির পরেও কীভাবে এই পদক্ষেপ?
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে মহুয়া জানিয়েছেন, নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। সেই আবহেই তাঁর বাড়ি এবং দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দারা। কমিশনের কাছে তাঁর আর্জি, “দেশে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন সিবিআইয়ের তদন্তের কাজ কীভাবে চলবে সেই নিয়ে কমিশনকে একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দিতে হবে। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি চালুর পর কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত নিয়ে নির্দেশিকা বেঁধে দেওয়া উচিত।”
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রবিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মহুয়া মৈত্রকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তিনি জেল থেকে লড়বেন এবং জিতবেন। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুনাল জানান, মহুয়ার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে। মহুয়া দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছিলেন, তাই এইভাবে তাঁকে জড়িয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁকে আত্মপক্ষের সুযোগ দেওয়া হয়নি।