প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠদের অঙ্গুলিহেলনে চলছিল বিশ্বভারতী? কী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের?

অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউফা বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

May 16, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
বিশ্বভারতী

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বভারতীর পল্লি সংগঠন বিভাগের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অধ্যাপক অরবিন্দ মণ্ডলকে। তাঁর বদলে অধ্যক্ষ পদে এলেন সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের অধ্যাপক দেবতোষ সিনহা। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠদের বিশ্বভারতীর বিভিন্ন পদ থেকে সরাচ্ছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে সরানোর প্রক্রিয়া চলছিল।

পল্লিশিক্ষা ভবনের মেয়াদ উত্তীর্ণ অধ্যক্ষ অরুণ বারিককে সরিয়ে তাঁর বদলে সংশ্লিষ্ট ভবনের প্রবীণতম অধ্যাপক বিনয় সোরেনকে অধ্যক্ষ পদে বহাল করা হয়েছে। ভাষা ভবনের ইংরেজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মনোরঞ্জন প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক তাপু বিশ্বাসকে সরিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপিকা দেবারতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভাগীয় প্রধান করা হয়েছে। প্রবীণতম অধ্যাপকেরাই সাধারণত অধ্যক্ষের পদের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মণ্ডল-সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন তাঁরা সেই পদে আসীন থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে চর্চা আরম্ভ হয়। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউফা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে চিঠি লেখে। তারপরই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের পরিবর্তন করল বর্তমান কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত নির্দেশিকাগুলি জারি করেন।

অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউফা বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভিবিইউফার সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অবসর নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এখনও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ইশায়ার কাজ চলছিল, যা বিশ্বভারতীর পক্ষে ভাল নয়। তাঁরা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানান, অবশেষে তাঁদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen