রাজভবন কাণ্ডে অভিযুক্তরা তদন্তকারীদের সামনে কী বললেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একাধিকবার তলব করলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজভবনের তিন কর্মী। অবশেষে মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজিরা দেন তাঁরা। এদিন সকালে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হন রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিং রাজপুত এবং অন্য দুই কর্মী কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লাল। পুলিসে অভিযোগ জানানোর সময় রাজভবনের ওই মহিলা কর্মীকে আটকানো হয় বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয় জামিনযোগ্য ধারায় (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬১ ও ১৬৬)।
বিচারকও এদিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজিরা দেন অভিযুক্ত তিনজন। রাত পর্যন্ত তাঁদের জেরা করা হয়। কেন তাঁরা মহিলাকে আটকেছিলেন? কী উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের? ওই মহিলাকে কারও কথায় আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল কি না, জানতে চান তদন্তকারীরা। অভিযোগকারীরা স্পষ্টভাবে কোনও উত্তর দেননি বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, পূর্তদপ্তরের দেওয়া সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গিয়েছে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে থানার দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। তখনই রাজ্যপালের ওএসডি এবং আরও দু’জনকে ফুটেজে তাঁকে আটকাতে দেখা যায়। এরপরই, গত শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল। শনিবার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ ধারায় তাঁদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন রবিবার তাঁরা সেখানে যাননি। এরপর ফের নোটিস পাঠানো হয় পুলিসের তরফে। ই-মেলে তাঁরা সময় চেয়ে নেন। মঙ্গলবার আচমকাই ব্যাঙ্কশাল আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই অভিযুক্তরা। ৫০০ টাকার বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। সরকারি আইনজীবী সোমা বিশ্বাস এজলাসে বলেন, জামিন মঞ্জুর করা হলেও তদন্তে পুলিসকে সহযোগিতা করতে হবে।