গ্যাস রান্নাঘরে পৌঁছবে পাইপলাইনের মাধ্যম, কলকাতা সহ ৪০টি পুর এলাকায় জোরকদমে চলছে কাজ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ৮২৯ টাকার ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস মিলবে ৫৩০ টাকায়। তবে সিলিন্ডারে নয়, সেই গ্যাস রান্নাঘরে পৌঁছবে পাইপলাইনের মাধ্যমে। কলকাতা সহ ৪০টি পুর এলাকায় জোরকদমে চলছে কাজ। গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বাংলার মানুষের উদ্বেগ দূর করতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। কলকাতা সহ ৪০টি পুর এলাকায় জোরকদমে চলছে কাজ।
বর্তমানে একটি ১৪.২ কেজির গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম পড়ে ৮২৯ টাকা। আর এই মুহূর্তে যে সব জায়গায় স্থানীয়ভাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ চালু হয়েছে, সেখানে এক কেজি গ্যাসের দাম পড়ছে ৩৭.২৮ টাকা, বা ৫২.২ টাকা প্রতি স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটার। সেই নিরিখে একজন গ্রাহককে ১৪.২ কেজি ন্যাচারাল গ্যাসের জন্য দিতে হবে মাত্র ৫২৯.৩৭ টাকা। হাওড়ার এক বাসিন্দা সুজাতা কুণ্ডুর কথায়, ‘এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সকলেই চায় দু’পয়সা বাঁচাতে। এখানে খরচ তো কয়েকশো টাকা কম।’
কয়েকবছর আগেই গেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া এবং দুই ২৪ পরগনার ৪০টি পুর এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে তৈরি হয় বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিসিএল)। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর থেকে পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে মগরা এবং কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত। গঙ্গার নীচ দিয়ে পাইপ পেতে জোড়া হয়েছে মগরা এবং গয়েশপুরকে। ইএম বাইপাস, চিংড়িঘাটা, নিউটাউন, কল্যাণী, পুরনো দিল্লি রোড এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কিছুটা অংশে স্টিল পাইপ পাতার কাজও শেষ। বাড়ি বাড়ি যে প্লাস্টিক পাইপলাইন যাবে, তার কাজ অনেকটা এগিয়েছে নিউটাউন-বারাকপুরের মতো এলাকায়। তাহলে গ্যাস নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। কেন? বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-২ ব্লকের বাবলা গ্রাম সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয় সমস্যার জন্য থমকে রয়েছে মাত্র ২৫০ মিটারে পাইপ বসানোর কাজ। বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে আধিকারিকদের। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে কলকাতা সংলগ্ন বেশ কিছু আবাসনে রিজার্ভারে স্টোর করে সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ফ্ল্যাটে গ্যাস সরবরাহের পথ বেছে নিয়েছে বিজিসিএল।