মোদী আমলে তীব্র হয়েছে বেকারত্বের সংকট, কী দাবি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে গোটা দেশে বেকারত্বের সংকট তীব্রতর হয়েছে, এমনই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। তাদের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের নেতা জয়রাম রমেশ জানান, কেন্দ্রের তুঘলকি নোটবাতিল, আচমকা জিএসটি চালুর সিদ্ধান্ত ও চীন থেকে আমদানি বৃদ্ধি ভারতের কর্মসংস্থানের অন্যতম স্তম্ভ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ক’দিন আগেই সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমির সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, গত আট মাসে দেশে বেকারত্বের হার সর্বাধিকে পৌঁছে গিয়েছে। গত জুনে দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৯.২ শতাংশ হয়েছে।
রমেশের মতে, দেশের বেকারত্ব সংকট নিয়ে কংগ্রেস গত পাঁচ বছর ধরে বলে আসছে। মোদী সরকারের আর্থিক নীতির জন্যে কেবল বড় সংস্থাগুলিই লাভবান হচ্ছে। ‘নন-বায়োলজিক্যাল’ প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। স্নাতক পাস তরুণ প্রজন্মের বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশ। ভারতের মোট শ্রমশক্তির মাত্র ২১ শতাংশ কর্মী নিয়মিত বেতন পান। করোনা পর্বের আগে এর হার ছিল ২৪ শতাংশ।
সিটি গ্রুপ রিপোর্টে জানিয়েছেন, ভারতে তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য আগামী এক দশকে প্রতি বছরে ১.২ কোটি রোজগার তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের দাবিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস বলেছেন, রিপোর্ট অনুসারে সাত শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার কর্মসংস্থান তৈরির পক্ষে যথেষ্ট নয়। মোদী সরকারের আমলে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার গড়ে ৫.৮ শতাংশ। তাঁর অভিযোগ, আর্থিক ক্ষেত্রে মোদী সরকার ব্যর্থ, এটাই বেকারত্ব বৃদ্ধির মূল কারণ। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করছে না। এতে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকার পরিচালনাতেও সমস্যা হচ্ছে।
সিটি গ্রুপের রিপোর্টে মোদীএ চালু করা একাধিক প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রকল্পগুলি মানুষের কোনও উপকারেই লাগে না বলেও দাবি করা হচ্ছে। যার অন্যতম স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্প। মুদ্রা ও স্বনিধি প্রকল্পেও ছোট ব্যবসায়ীরা কোনও সাহায্য পায়নি। গ্রামীণ এলাকায় মজুরি প্রত্যেক বছর এক থেকে দেড় শতাংশ কমছে। অভিযোগ উঠছে, মোদী সরকার গ্রামীণ মানুষদের আরও গরীব বানাচ্ছেন।