DVC-র ছাড়া জলে প্লাবিত গ্রামীণ হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গ্রামীণ হাওড়া ও হুগলির বেশ কিছু অঞ্চল ভেসে গেল ডিভিসির ছাড়া জলে। আমতা ২ নং ব্লকের দ্বীপাঞ্চল উত্তর ভাটোরা, দক্ষিণ ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া, চিৎনান সোমবার রাতে প্লাবিত হয়েছে। হুগলির তারকেশ্বর, ধনেখালি ও জাঙ্গিপাড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলের নীচে চলে গিয়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দা সমস্যায় রয়েছেন। চারটি বাঁশের সেতু ভেঙে যাওয়ায় দ্বীপাঞ্চল মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। দ্বীপাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে মঙ্গলবার তবে জোয়ারের জল নেমে যাওয়ায় দ্বীপাঞ্চলের রাস্তা চলাচল যোগ্য হয়েছে। উত্তর ভাটোরায় জল রয়েচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়া কমিয়েছে, রাতে পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার রাত থেকে হরিহরপুর এলাকায় বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। হাওড়া কৃষি দপ্তরের তথ্য বলছে, প্রায় ১,৩০০ হেক্টর জমিতে ধানের পাশাপাশি ১৫০ হেক্টর জমির সব্জি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
হুগলিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। শনিবার রাত থেকে দামোদরের জল ঢুকতে শুরু করে। নিম্ন দামোদর এলাকার চাষের জমি ও জনবসতি জলের তলায় চলে যায়। মঙ্গলবার সেখানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষিজ পণ্য বিপণন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মিনা, মহকুমা শাসক মুক্তা আর্য, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় সহ আধিকারিকরা। রামেন্দুবাবু জানান, তারকেশ্বর বিধানসভার চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ধনেখালির গোপীনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকা পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ চাষের জমি জলের তলায়। নদীবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে।
রাজবলহাট পঞ্চায়েতের ছিটগোলা, রসিদপুর পঞ্চায়েতের আকনা, সেনপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হুগলির মগরা-১ পঞ্চায়েতের হেদিয়াপোতায় জল নামছে। জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি।