কল্যাণীর এইমসে চিকিৎসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে গিয়ে হয়রান রোগীরা, BJP’র ‘লোকেদের’ বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসেন কল্যাণীর এইমসে। ১০ টাকা দিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করলেই যে কোনও বিভাগের ডাক্তার দেখানোর সুযোগ রয়েছে এখানে। পরিসংখ্যান বলছে, দিনে এই হাসপাতালে আউটডোরে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগীর চিকিৎসা হয়। রেজিস্ট্রেশন বা টিকিট কাটার জন্য অবশ্য আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় রোগী বা তাঁদের পরিজনদের। এর জন্য সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে দু’টি মোবাইল নম্বরে ফোন করে কিংবা হাসপাতালের অ্যাপে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইতে হয়। কর্তৃপক্ষ তারপর ফোন করে ডাক্তার দেখানোর দিন ও সময় জানিয়ে দেয়।
কিন্তু এই বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে রোগীদের। নাম নথিভুক্ত করাতে গিয়ে রীতিমতো কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ, ফোন এবং অ্যাপ দু’জায়গা থেকেই সহজে বুকিং পাওয়া যায় না। ফলে ডাক্তার দেখানোর জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।
তবে বিজেপির এমপি, বিধায়ক, স্থানীয় নেতৃত্ব বা হাসপাতালের কর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছতে পারলে সহজেই মিলছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। অনেকেরই ধারণা, বিজেপির নেতাদের কোটা রয়েছে এইমসে। সেই লিস্ট শেষ হলে তারপর সাধারণ মানুষকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ‘জয় হিন্দ’ সহ বেশ কিছু নাম দিয়ে আলাদা তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকা সরাসরি পৌঁছে যায় হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টের টেবিলে। প্রভাবশালীদের মাধ্যমে আসা রোগীদের নাম থাকছে সেই তালিকায়।
শ্যামনগর থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় শ্যামল দাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছে সরাসরি রোগী দেখানোর কোনও উপায় নেই। আগে থেকে বুকিং করতে হয়। বিজেপির নেতাদের ধরলে তাড়াতাড়ি হয়। না হলে কবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিলবে, তার কোনও ঠিক নেই। এই কোটা পদ্ধতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এবিষয়ে এইমসের জনসংযোগ আধিকারিক ডাঃ সুকান্ত সরকার বলেন, রোগীরা যাতে ভালো পরিষেবা পান, তারজন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।