আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কতজন বিধায়ককে ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়েই বিজেপিতে শুরু হয়েছে চর্চা

এই ৬৫ জনকে নিয়েও কি বিজেপি ‘নিশ্চিন্ত’?

March 11, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
——— গ্রাফিক: মানস মোদক

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য বিজেপিতে সোমবার আবার ‘ধাক্কা’ লেগেছে। বস্তুত, এ বার সরাসরি ‘ভাঙন’ শুভেন্দু অধিকারীর ঘরেই। ভোটের প্রস্তুতিতে এক বছর আগে থেকেই কোমর বাঁধা শুরু হচ্ছে বলে যখন দাবি করছে বিজেপি, তখন দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে গেলেন তাদের বিধায়ক তাপসী মন্ডল।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু দু’জন সংসদ নির্বাচনে লড়াই করে জিতলেও তারা বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য থেকে যান। পরে উপনির্বাচনে দু’টিতেই জিতে যায় তৃণমূল। ফলে নতুন করে আসন বাড়েনি বিজেপির। যদিও সৌমেন রায় তৃণমূলে গিয়ে আবার বিজেপিতে ফেরেন। তাপসী মণ্ডলের দলত্যাগের পরে এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৬৫।

কিন্তু এই ৬৫ জনকে নিয়েও কি বিজেপি ‘নিশ্চিন্ত’? পদ্ম শিবির সূত্রের খবর, দলকে ভাবনায় রেখেছে আরও আট জনের গতিবিধি। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়ক গত কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তিনি কার্শিয়ঙের বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে ফেরেন। তবে সৌমেনের আসল ‘আনুগত্য’ বিজেপির প্রতি না কোচবিহারের রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজের প্রতি, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।

বাদ নেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলাও। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপিতে আপাতদৃষ্টিতে ‘শান্তিকল্যাণে’র আবহ। কিন্তু নবনির্বাচিত মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা ঘোষিত হওয়ার পর জেলার এক বিজেপি বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারানোর চক্রান্ত হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গোটা রাজ্যেই এখন বিজেপিতে একই চিত্র। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কতজন বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen