দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পূর্ণাহুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত রাজেশ দ্বৈতাপতি ও ইসকনের কর্মকর্তা রাধারমণ দাস।

April 29, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধে অর্থাৎ অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে দ্বারোদঘাটন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তার আগে মঙ্গলবার পূর্বসূচি অনুযায়ী মহাযজ্ঞে শামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ শুরু হয় পূর্ণাহুতির কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত রাজেশ দ্বৈতাপতি ও ইসকনের কর্মকর্তা রাধারমণ দাস। পূর্ণাহুতির পর আরতি করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ওড়ানো হয় ধ্বজাও।

গত রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে পুরীর নিয়মে দিঘায় জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় শুরু হয় আচার-অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শাস্ত্রীয় মতে শুরু হয় পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ। জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী আটচালা ঘর।

মঙ্গলবার থেকে সেখানেই দু’বেলা পুজো এবং হোমযজ্ঞ চলছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু তাতে শামিল হয়েছেন। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় পৌঁছন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, ২৯ তারিখ বিশ্বশান্তির জন্য শুরু হয় মহাযজ্ঞ। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হয়।

পূর্ণাহুতির পরে মমতা বলেন, ‘‘সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মা-মাটি-মানুষ ভাল থাকলে আমি ভাল থাকব। তাই সকলের হয়ে প্রার্থনা করছি।’

মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে জেলা, রাজ্য, প্রতিবেশী রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী যাবেন সৈকত শহর দিঘায়। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। যাঁরা মন্দির দর্শনে যাবেন, তাঁরা ওল্ড দিঘা থেকে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার হেঁটে মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen