TMC: ভোটার তালিকা, ভুয়ো নাম ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনে তৃণমূলের প্রতিবাদ

দলের আরেকজন সদস্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখেছেন।

July 1, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২০: আজ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) , বাংলার সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য (Chandrima Bhattacharya), অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas), এবং রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক (Prakash Chik Baraik)। বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা কমিশনের সঙ্গে হওয়া আলোচনার মূল বিষয়গুলি তুলে ধরেন।

প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল ভোটার তালিকা (voter list) নিয়ে অনিয়ম। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে – বিশেষ করে দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ভোটের ঠিক আগে হঠাৎ বিপুল সংখ্যায় ভুয়ো ভোটার (ghost voters) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে (electoral process) প্রভাবিত করছে। তিনি বলেন, ৫০-৬০ বছর বয়সী “নতুন” ভোটারদের হঠাৎ অন্তর্ভুক্তি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই ধরনের অন্তর্ভুক্তি যেন নির্দিষ্ট কাট-অফ তারিখ নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রণ করা হয় – তৃণমূল সেই দাবি জানিয়েছে।

আরও একটি বড় ইস্যু ছিল জন্ম শংসাপত্র (birth certificate) সংক্রান্ত নিয়মাবলী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কমিশন যদি ২০০৩ সালকে ভিত্তি বছর হিসেবে ধরে, তাহলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা বৈধ ভোটার ছিলেন, তাঁদের কী ভাবে বাদ দেওয়া যায়? কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালকে বেস ইয়ার (Base Year) হিসেবে ধরা নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছে এবং ইতিমধ্যে ভোটার থাকা নাগরিকদের নতুন করে জন্ম শংসাপত্র চাওয়া হবে না।

ভোটার তথ্য যাচাইয়ের অধিকার নিয়েও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট দাবি জানান। তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলিরও (political parties) অধিকার রয়েছে – ভোটের ৩-৪ মাস আগে অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের বাস্তব অস্তিত্ব যাচাই করার।

আধার (Aadhaar) লিংক বাধ্যতামূলক নয়, কমিশন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ব্লক স্তরে সাধারণ মানুষের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি নিয়ে তৃণমূল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দলের আরেকজন সদস্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখেছেন। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই আলোচনা হয়েছে।

তৃণমূল আরও দাবি করে, কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) বুথের ভিতরে যেন না ঢোকে, এবং রাজ্যপাল (Governor) যেন নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করেন। এই সমস্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তাঁরা সব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen