FIFA Club World Cup final: ক্লাব ফুটবলে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল চেলসি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ০৯:২৫: নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফরাসি ক্লাব পিএসজি’কে সোজাসাপটা ৩ গোলের মালা পরিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল চেলসি (Chelsea)। ক্লাব ফুটবলে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি বিরতির আগেই তিন গোলে এগিয়ে যায়। ২২ ও ৩০ মিনিটে পিএসজি’র ( PSG) জালে বল জড়ান কোলে পালমার। পেড্রো ৪৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। তবে এই গোলের ক্ষেত্রেও অবদান ছিল পালমারের। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্যারিসের ক্লাবটি। ৮৫ মিনিটে লালকার্ড দেখেন নেভেস। ফলে বাকি সময় দশজনে খেলতে হয় পিএসজি’কে।
ফাইনালে ফেভারিট বলে কিছু হয় না। প্রাচীন এই ‘প্রবাদ’ যে কতটা মোক্ষম, তা আবার প্রমাণিত। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে (FIFA Club World Cup ) ‘ফেভারিট’ হিসেবে চেলসির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। মরশুমে পঞ্চম ট্রফি জয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিল ‘লেস প্যারিসিয়েন্স’রা। ফাইনালের মহা লড়াইয়ের বহু আগে থেকেই নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার দখল নিয়েছিলেন পিএসজি’র সমর্থকরা। তাঁদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল সেমিফাইনালে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে দলের অভূতপূর্ব জয়। তাই উৎসবের প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়ে মুখ বেজার করেই তাঁদের ফিরতে হল।
প্রথমার্ধ শেষে মঞ্চে পারফর্ম করেন আমেরিকান র্যারপার দোজা ক্যাট ও কলম্বিয়ান গায়ক জে বালভিন। নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে এমন উৎসবেও গ্যালারিতে ৮১ হাজার দর্শকের মাঝে অনেকের মুখ ভার। কিছুক্ষণ আগে মাঠে প্রথমার্ধে তাঁরা যা দেখেছেন, স্রেফ অবিশ্বাস্য।
একই কারণে আবার গ্যালারিতে কারও কারও মুখে হাসি থামছেই না। সেই হাসির রঙ নীল, পিএসজি সমর্থকদের বুকে বিঁধেছে ‘নীল’ বেদনা হয়ে। চেলসির কিছু সমর্থক মাথায় হাত রেখে হাসছিলেন। ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথমার্ধে যে তাঁদের কারও কারও কল্পনাকেও হার মানিয়েছে; ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির বিপক্ষে চেলসি ৩-০ গোলে এগিয়ে!
পরের অর্ধে আর গোল না হলেও পিএসজি’কে মাঠ ছেড়েছে ১০ জন নিয়ে, কাঁধে ৩-০ গোলে হারের বোঝা। ৮৫ মিনিটে চেলসি লেফট ব্যাক মার্ক কুকুরেল্লার চুল টেনে তাঁকে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন পিএসজির মিডফিল্ডার হোয়াও নেভেস। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন চেলসি তারকা কোল পালমার। হোয়াও পেদ্রোকে দিয়েও গোল করান তিনি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গিয়েছিলেন ফাইনাল দেখতে। বেশ গরমের মধ্যে পিএসজিকে শুরু থেকেই চেপে ধরে চেলসি। প্রথম ৮ মিনিটের মাথায় পালমারের হালকা বাঁকানো শট পিএসজির পোস্টকে চোখ রাঙিয়ে যায়। ২২ ও ৩০ মিনিটে পালমারের গোল দুটি প্রায় একই রকম। চেলসি রাইট ব্যাক মালো গুস্তোর শট নিতে না পেরে পালমারকে দেন। বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল করেন চেলসি মিডফিল্ডার। ৮ মিনিট পর সেন্টার ব্যাক লেভি কোলউইলের পাস পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে পিএসজির বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন পালমার। এবারও তাঁর বাঁ পায়ের শটে পরাস্ত দোন্নারুম্মা। তবে দুটি ভালো সেভও করেছেন এই ইতালিয়ান।