Maharashtra Woman Doctor suicide case: বিজেপিকে নিশানা তৃণমুলের, কী বললেন শশী পাঁজা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০৬: বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারায় চার বার ধর্ষণ করেছে সাব-ইনস্পেক্টর। বাঁ হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে হাসপাতালেই নিজেকে শেষ করলেন মহিলা ডাক্তার (Woman Doctor)। পুলিশি নিপীড়নের ভয়াবহ অভিযোগ জানানোর পরেও পদক্ষেপ নেয়নি সে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন প্রশাসন। এবার এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শশী বলেন, “মহারাষ্ট্রের সাতারায় সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানানো হলেও কর্ণপাত করা হয়নি, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সে ‘ভারত কি বেটি’ নয়! দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে। এই কাজে পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নকল সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজে তাকে জোর করা হত। এক সাংসদ ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলছিল তার উপর। এমত অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেন। হাতের তালুতে লিখে গেছেন কারা কারা এর জন্য দায়ী।”
বিজেপির দ্বিচারিতা ও গদি মিডিয়ার সিলেকটিভ নীতি নিয়ে তোপ দেগে শশী বলেন, “যখন এই ধরনের ঘটনা বাংলায় ঘটে, তখন মহারাষ্ট্রের ঘটনা নিয়ে বিজেপি বা মহারাষ্ট্র সরকারের কোনও বক্তব্য শোনা যায় না। কিন্তু বাংলায় এমন কিছু ঘটলে জাতীয় মহিলা কমিশন সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠত। পুলিশ তদন্ত শুরুর আগেই নানা ব্যাখ্যা আসত। কিন্তু মহারাষ্ট্রে জাতীয় মহিলা কমিশন গিয়েছে কিনা, তা দেখা গেল না। তার পরিবারের কাছে গিয়েছে কিনা, সেই সরকারি হাসপাতালে গিয়েছে কিনা, মহিলা চিকিৎসকের বন্ধু-বান্ধবদের কাছে পৌঁছেছে কিনা, কিছুই দেখা গেল না। মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশন গিয়েছে কিনা, তাও দেখা গেল না। এটা নিয়ে জাতীয় স্তরের মিডিয়ায় কোনও আলোচনা বা তোলপাড় হয়নি। রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করা হয়নি, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন কিনা, এই প্রশ্নও ওঠেনি। অথচ বাংলায় এমন ঘটনা ঘটলে আমরা এসব দেখতে পাই। কেন এটা সিলেকটিভ হয়? ধর্ষণের মধ্যেও বিভেদ আনছে বিজেপি। এজেন্সি ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে যাবেনা, গদি মিডিয়া নিশ্চুপ থাকবে, এটা চলতে পারেনা। ”
শশী পাঁজার স্পষ্ট মন্তব্য , “আমরা আয়নাটা দেখাতে চাইছি, যখন বাংলায় এমন ঘটনা ঘটে, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে, গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সেখানে শুধু সাসপেন্ড হয়, গ্রেপ্তার তো দূরের কথা। যারা অভয়ের আন্দোলন করেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষে এবং দেশ-বিদেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন, ক্রাউড ফান্ডিং করেছিলেন,, নাম না দিয়ে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছিল- সেই আলোড়নটা কোথায়? চর্চা কোথায়? মহিলা চিকিৎসকদের মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনাই আমাদের ব্যথা দেয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বিবৃতি তো আমরা দেখছি না।”
এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা আরও বলেন যে, “দেউলিয়া হয়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আপনি ইমোশনালি দেউলিয়া হয়েগেছেন। বিজেপি যেহেতু কেন্দ্রের সরকারে আছে। লখনৌতে বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য বলেছেন, যারা ঝাড়ু দেয় তারা বাংলাদেশি। ভাবুন এদের ঔদ্ধত্য কতদূর পৌছেছে। কৃষকদের উগ্রপন্থী বলেছে, পাঞ্জাবি পুলিশকে খলিস্তানি বলেছে, সোনালী খাতুন সহ আরও ৫জনকে বাংলায় কথা বলে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে। আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আনার নির্দেশ দিলেও কোনও পদক্ষেপ নিল না কেন্দ্র। বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ প্রমাণ করতে চায় বিজেপি।”