বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের কর্মসূচি নিল তৃণমূল
তৃণমূলের লক্ষ্য এখন একটাই, রাজ্যের শাসন ব্যবস্থায় সরকারের হ্যাটট্রিক। আর তার জন্য দলকে সংগঠিত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। পুজো শুরুর আগে পর্যন্ত বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যে সম্মেলনগুলিতে কর্মীদের মনোবলকে যেমন চাঙ্গা করা হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে কেন্দ্রের শাসক দলকে চড়া সুরে বিঁধছেন তৃণমূলের নেতারা।
চলতি বছর শেষ হতে হাতে রয়েছে মাত্র আড়াই মাস সময়। তারপরই ২০২১ সালের হাইভোল্টেজ ম্যাচ, বিধানসভা নির্বাচন। যার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর এখানেই বিরোধীদের থেকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। হাতে যে সময়টুকুই রয়েছে তাকে পুরোপুরি ভাবে রাজনৈতিক জমি শক্ত করার কাজে ব্যবহার করছেন নেতারা। দলীয় বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ঘরে বসে আর সময় নষ্ট করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের কাছে যেতে হবে। সবিস্তারে রাজ্যের উন্নয়ন তুলে ধরার সঙ্গে ভরাট করতে হবে সংগঠনের ফাঁকফোকর। দলের রাজ্য নেতৃত্ব জেলাগুলিকে বার্তা দিয়েছেন, পুজোর আগে প্রতিটি বিধানসভায় কর্মী সম্মেলনের পর্ব সেরে ফেলতে। সেইমতো তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সম্মেলনে বুথের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন নেতৃত্ব।
২১ জুলাই ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের যে সুর বেঁধে দিয়েছেন, তাকেই অনুসরণ করছেন নেতারা। রবিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলন ছিল। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন দলের সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মালা রায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা। বুথের সংগঠনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, বিজেপি যেভাবে দেশের মধ্যে বিভেদ তৈরি চেষ্টা চালাচ্ছে, তা রুখতে হবে।কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও কর্মী সম্মেলন চলছে। তাতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন নেতৃত্ব। বিজেপির আমলে দেশের মানুষ কীভাবে দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন, সেটাকেই লড়াইয়ের হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।
সেইসঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিতদের উপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে লাগাতার মিটিং- মিছিলের মধ্য দিয়ে। এদিনও পথে নামে তৃণমূলের মহিলা শাখা। শামিল হন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা। হাজরা থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। পোস্টার ও স্লোগানে বার্তা দেওয়া হয়, ‘আমার দলিত মেয়েকে ফিরিয়ে দাও’। এটা স্পষ্ট, উৎসব পর্ব মিটলেই বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে তৃণমূল।