২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে SIR শুনানি, নজরদারিতে সিসিটিভি বসানোর ভাবনা কমিশনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রকাশিত হতে চলেছে খসড়া ভোটার তালিকা। এই তালিকা প্রকাশের চার থেকে পাঁচ দিনের মাথাতেই শুরু হতে চলেছে শুনানির পালা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে এসআইআর (SIR) বা ভোটার তালিকার বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধনী প্রক্রিয়ার শুনানি। এই শুনানি পর্বে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবার সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
কমিশন সূত্রে খবর, বাংলায় এসআইআর-এর প্রথম পর্ব ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বর্তমানে জমা পড়া ফর্মগুলির আপলোড এবং খুঁটিয়ে পরীক্ষার কাজ চলছে। এবারের বিশেষত্ব হলো, ফর্ম যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ‘এআই’ (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কমিশন। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে একাধিক স্তরে (ছাঁকনিতে) ফেলে যাচাই করা হচ্ছে ভোটারদের তথ্য। এই স্কুটিনিতে যাঁদের তথ্যে ‘অসঙ্গতি’ বা ‘ত্রুটি’ মিলবে, তাঁদেরকেই মূলত শুনানিতে ডাকা হবে।
শনিবার কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই নোটিস পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ভোটারদের শুনানিতে ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তথ্যে অসঙ্গতির কারণে কতজন ভোটার ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে শুনানির মেয়াদ। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে এই প্রক্রিয়া মাসাধিককাল ধরে চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ৭.৬৬ কোটিরও বেশি ভোটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৮ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১.৭০ কোটি ফর্মে তথ্যে নানাবিধ অসঙ্গতির হদিশ মিলেছে। বিপুল সংখ্যক এই শুনানির কাজ সামলাবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের ইআরও (ERO) এবং এইআরও (AERO)-রা। প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখতে উপস্থিত থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভাররাও। কাজের চাপ সামলাতে প্রয়োজনে এইআরও-র সংখ্যা ৫০ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে শুনানি কক্ষের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে কমিশন। অন্যদিকে, শুনানির সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে কমিশনের ওই আধিকারিক জানান, আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনই।