বাংলায় UPI জালিয়াতির পরিমাণ কত? লোকসভায় অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে ‘তথ্য নেই’ কেন্দ্রের!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১৫: পকেটে নগদের বালাই এখন অতীত। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিলাসবহুল শপিং মল- বর্তমানে প্রায় সকলেই আর্থিক লেনদেনের জন্য নির্ভর করেন ইউপিআই (UPI)-এর ওপর। কিন্তু প্রযুক্তির এই সুবিধাকে হাতিয়ার করেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণা (Cyber fraud)। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ইউপিআই জালিয়াতির (UPI fraud) সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু তাঁর সেই প্রশ্নের জবাবে কার্যত হাত তুলে নিল কেন্দ্র। লোকসভায় জানানো হলো, রাজ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির আলাদা কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই।
সম্প্রতি লোকসভায় ইউপিআই জালিয়াতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছিলেন, বাংলায় ইউপিআই জালিয়াতির পরিমাণ ঠিক কত? পাশাপাশি, গত ৭ দিন ও ৩০ দিনের মধ্যে কোন রাজ্যে কতগুলি প্রতারণার ঘটনার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনায় ব্যাঙ্কগুলোর ভূমিকা ঠিক কী, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চান তিনি।
সাংসদের এই প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI) এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (NPCI) অভিযোগগুলি নথিভুক্ত করলেও, তা রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে বাংলা বা অন্য কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের ইউপিআই জালিয়াতির পরিসংখ্যান দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
রাজ্যভিত্তিক তথ্য দিতে না পারলেও, কেন্দ্র সারা দেশের অভিযোগ নিষ্পত্তির একটি পরিসংখ্যান পেশ করেছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়েছে, তার মধ্যে ২২ শতাংশ অভিযোগের ক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে সময় লেগেছে ৩০ দিন। এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলায় কোন ব্যাঙ্ক কতটা সফল, সেই সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।