গৃহ পরিচালনাঃ বিশাল দায়িত্ব কিন্তু মেলেনা কৃতজ্ঞতা
আমরা ধরে নিই তিনি অপরিহার্য। কেউ ঠিকই বলেছেন মহিলা হয়ে জন্মানো মানে সারা জীবন দায়িত্বের বেড়াজালে থাকতে হয়। একটি ছোট্ট শিশু থেকে এক গৃহকর্ত্রী।
গুগলে একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা আছে মহিলাদের ব্যাপারে – বিবাহিত মহিলা যাদের প্রাথমিক কাজ পরিবারের দেখাশোনা, বাড়ির কাজকর্ম পরিচালনা করা। গৃহকর্ত্রী হওয়া সহজ কাজ নয়, সারা পরিবারের সব কাজ দেখে নিজের জন্যও সময় বার করতে হয়। কিন্তু, আজও ভেবে নেওয়া হয় মহিলারা এই কাজ করতেই জন্মেছে।
অনেক মহিলার বক্তব্য, তাঁরা ঘরকন্নার কাজে লজ্জা বোধ করেন না, কিন্তু, বিরক্ত তখন লাগে যখন কেউ বলে তুমি তো কিছুই করোনা, নতুন কিছু কাজ শুরু কর। সকলকে বুঝতে হবে একটি পরিবারে গৃহকর্ত্রী একটি স্তম্ভ। এখনই আমাদের সমাজের উচিৎ এই কাজকে সম্মান জানানো।
অনেক কর্মরতা মহিলাও বাড়ির দেখাশোনা করেন। এমনি এক মহিলা বলেন, পরিবারের আমাদের কাজ বোঝে। অনেক কর্মরতা মহিলা বাড়ির কাজকে একটু নিচু চোখে দেখেন। আজকাল অনেক মহিলার পেশাদারী ডিগ্রী থাকে। কিন্তু, ওনারা পারিবারিক চাপে কাজ ছাড়তে বাধ্য হন। সকলকে বুঝতে হবে এর আগের যুগের মহিলারা কাজ করতেন আজ বেছে নিতে হচ্ছে বাড়ির কাজ করবেন না বাইরে কাজ করবেন।
গৃহকর্ত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে প্রচুর কাজ করতে হয়। মনস্তত্ব বলে, অনেক গৃহকর্ত্রী সারাদিন সংসার সাম্লে অনেক মানসিক চাপে থাকেন। এক ক্রিকেটার অভিনেতার স্ত্রী ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজের কেরিয়ার সামলাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য গৃহকর্ত্রী হিসেবে নিজেকে ছোট ভাবার কোনও কারণ নেই। গৃহকর্ত্রীর কাজ কোনও অংশে কম দায়িত্বের না।