দিল্লি ঘেরাও ও অনশনের ডাক কৃষকদের
দাবি আদায়ে দিল্লি ঘেরাও করলেন বিক্ষোভকারী কৃষকেরা। ডাক দিলেন অনশন আন্দোলন কর্মসূচিরও। শনিবার একের পর এক টোল প্লাজায় পিকেটিং করে সরকারকে নিতে দেওয়া হল না টোল ট্যাক্স। অবরোধ করা হল দিল্লিতে প্রবেশের অধিকাংশ রাস্তাও। কৃষক সংগঠনগুলির ঘোষণা মতোই বিভিন্ন সীমানা এলাকায় হল চাক্কা জ্যাম। এর মধ্যে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানা টপকে রাজধানীতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলেন আন্দোলনকারীরা। যদিও মিছিল শুরু করতে না করতেই কৃষকদের আটকে দিল পুলিস। যাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনাও সৃষ্টি হল দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের সীমানায়।
এর পাশাপাশি এদিন কৃষকেরা ঘোষণা করেছেন, ‘আগামী ১৪ ডিসেম্বর সিংঘু সীমানায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনশনে বসবেন তাঁরা। রবিবার উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর থেকে দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্যে মিছিল করা হবে।’ এদিন বিক্ষোভকারী কৃষকেরা এও জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা গররাজি নন। কৃষি আইন বাতিলের ইস্যুকে সামনে রেখে তাঁরা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুত।’
এদিকে, শনিবার এই ইস্যুতে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌতালা। তারপর তিনি বলেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে সরকারের একটা সমঝোতা হতে চলেছে। কৃষক বিক্ষোভের জেরে এদিন দিল্লি সংলগ্ন একাধিক সীমানা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে পুলিস। অশান্তির আশঙ্কায় দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়েতে মোতায়েন করা হয় কয়েক হাজার পুলিসকর্মী।
গুরুগ্রাম পুলিসের পক্ষ থেকে অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওমতেই দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করতে দেওয়া হবে না কৃষকদের। তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি কৃষকেরা এমএসপি আইন কার্যকর করার দাবিতে আরও সোচ্চার হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এদিন গাজিপুর সীমানায় সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির নেতা সর্দার ভিএম সিং বলেছেন, ‘আমরা এমএসপি ইস্যুতেও সরকারের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পেতে চাই। আলু, আখ, খাদ্যশস্য, অন্যান্য সব্জি, কৃষকেরা যেটাই উৎপাদন করুন না কেন, তার উপরই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য করতে হবে। দুধ বিক্রি করেও অনেক চাষির সংসার চলে। দুধের উপরও ধার্য করতে হবে এমএসপি।’
আন্দোলনের ১৭ তম দিনে কৃষক বিক্ষোভের(Farmers Protest) জেরে দফায় দফায় নির্দেশিকা জারি করতে হয় দিল্লি পুলিসকে। নয়ডা এবং গাজিয়াবাদ থেকে যাঁরা এদিন দিল্লিতে আসতে চেয়েছেন, তাঁদের আনন্দবিহার সহ অন্যান্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি সীমানাতেও। ড্রোনের মাধ্যমে চলে নজরদারি।