কেরোসিনের দাম বাড়াচ্ছে তেল সংস্থা
রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। তার পাশপাশি নতুন বছরের প্রথম মাসে রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের (kerosene) দাম চড়া হারে বাড়তে চলেছে। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জানুয়ারি মাসে যে হারে দাম ধার্য করেছে, তাতে লিটারে ৪ টাকার কাছাকাছি দাম বাড়তে পারে। কাল সোমবার সরকারি অফিস খোলার পর খাদ্যদপ্তর জানুয়ারি মাসে কেরোসিনের দাম নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানা গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ২৮ টাকা ৩৯ পয়সা। জানুয়ারিতে এই দাম ৩২ টাকা ছাড়াবে।
রেশনের জন্য সরবরাহ করা কেরোসিনের দাম (অয়েল ডিপো) প্রতি মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি নির্ধারণ করে। তার সঙ্গে ডিলার, হোলসেলার-এজেন্টদের কমিশন, পরিবহণ খরচ, জিএসটি প্রভৃতি যুক্ত করে খাদ্যদপ্তর বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে। হোলসেলার-এজেন্টরা তেল সংস্থাগুলির বিভিন্ন ডিপো থেকে কেরোসিন তুলে তা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় ডিলারদের কাছে সরবরাহ করেন। ডিপো থেকে সরবরাহ করার সময় পরিবহণ খরচের পার্থক্য থাকার কারণে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় কেরোসিনের দাম কিছুটা কম-বেশি হয়।
গত জুলাই মাসে কেরোসিনের দাম লিটারে প্রায় ৯ টাকা বেড়েছিল। তারপর গত কয়েক মাসে দাম এতটা বেশি হারে বাড়েনি। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে লিটারে মূল্যবৃদ্ধি ১-২ টাকার মধ্যে ছিল। সেখানে জানুয়ারিতে প্রায় ৪ টাকা দাম বাড়তে চলেছে। ওয়েষ্টবেঙ্গল কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানিয়েছন, গত মাসে ডিপো থেকে বের হওয়ার সময় প্রতি কিলোলিটার বা ১ হাজার লিটার কেরোসিনের দাম ধার্য করা হয়েছিল ২২ হাজার ৪৩১ টাকা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁরা খবর পেয়েছেন, জানুয়ারি মাসে প্রতি কিলোলিটারের দাম ২৬ হাজার টাকার কিছু বেশি ধার্য করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। জিএসটি প্রভৃতি নিয়ে এবার লিটারে ৩ টাকা ৯০ পয়সার আশপাশে দাম বাড়তে পারে।
গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামের ওঠা-নামার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। রেশনে সরবরাহ করা কেরোসিনে কার্যত এখন কোনও ভর্তুকি নেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ। গত বছরের মার্চ মাসে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল প্রায় ৩৮ টাকা। লকডাউনের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যায়। এপ্রিল মাস থেকে দাম পড়তে শুরু করে। মে মাসে দাম কমে দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৩ পয়সা। জুন মাস থেকে ফের দাম বাড়তে শুরু করে।