বাইপাসে এবার জোড়া উড়ালপুল বানাবে রাজ্য সরকার
ইএম বাইপাসকে আরও গতিময় করে তুলতে ওই গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত রাস্তায় জোড়া ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার জন্য প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে।
প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ-র এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক নকশা অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ফ্লাইওভার দু’টির একটি ধাপার কাছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটনে শুরু হয়ে নিক্কো পার্ক, নলবনের পাশ দিয়ে সল্টলেক (Salt Lake) সেক্টর ফাইভ ছুঁয়ে কেষ্টপুর খালের ওপারে নিউ টাউনে গিয়ে মিশবে। আর একটি ফ্লাইওভার ভিআইপি বাজারের কাছ থেকে উঠে কালিকাপুর অভিষিক্তা আবাসনের কাছে নামবে।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করতে পারেন, সেই জন্য দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটিকে রুবি মোড় থেকে গড়িয়াহাটমুখী রাস্তা এবং কালিকাপুরের কাছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। রাইট্সকে দিয়ে নকশাও তৈরি করানো হয়েছিল। তবে ইএম বাইপাসের মাঝ বরাবর নিউ গড়িয়া-কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো রেলের লাইন থাকায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। আগের নকশা পাল্টানো হয়েছে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরে মেলাতে গেলে ফ্লাইওভারটিকে অনেকটা ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সামনে পুকুর থাকায় সেটা প্রায় অসম্ভব। যাঁরা গড়িয়াহাটের রাস্তা ধরবেন, তাঁদের অভিষিক্তা মোড়ে নেমে আবার ঘুরে আসতে হবে। তা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রের খবর, ওই দু’টি ফ্লাইওভার (Flyover) নির্মাণের খরচ পুরোটাই রাজ্য সরকার বহন করবে। দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে যাতায়াতের পথ সুগম করতেই জোড়া ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। সেই জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর বানানো এবং নকশা তৈরির কাজ শেষ। সম্প্রতি অর্থ দপ্তরের কাছে প্রস্তাবও জমা পড়েছে। বিষয়টি আপাতত নবান্নের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্ভবত বাজেট অধিবেশনের পরেই টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হবে।