লক্ষ্য সচেতনতা, স্কুল সিলেবাসে ঢুকল করোনা ভাইরাস
করোনার দাপট কমেছে, কিন্তু নির্মূল হয়নি। এই সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে নানা পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার স্কুলপাঠ্যে এই বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পড়ুয়াদের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দিতে চাইছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ষষ্ঠ, সপ্তম এবং একাদশ শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বইয়ে এই ভাইরাস (Coronavirus) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়ে নিজেদের যেমন অবহিত করবে, তেমনই এই মারণ রোগের বিষয়ে অন্যান্যদেরও সতর্ক করার ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন দপ্তরের কর্তারা।
কী কী রয়েছে পাঠ্যবইয়ে? করোনা ভাইরাসের সংজ্ঞা, উপসর্গ, কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ করা দরকার প্রভৃতি বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরকারিভাবে যেমন সর্বদা ছবির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, বইয়েও একইভাবে বিষয়গুলি বোঝানো হয়েছে। শিক্ষকদের মতে, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়ারা এই রোগ সম্পর্কে জানবে। সপ্তম শ্রেণীর পাঠ শিখে তাদের সহপাঠী, পাড়াপড়শিদের মধ্যে প্রয়োজনে সচেতনতার বার্তা দিতে পারবে। একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে এই রোগের ব্যাপারে আরও অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যেমন হোম আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন, চিকিৎসা, মহামারী ইত্যাদি। সিলেবাস কমিটির তরফে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংক্রান্ত বিষয়বস্তু তৈরি করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
করোনার প্রভাব অনেকটা কমলেও ঢিলেমি একেবারে ঠিক নয়। এই বার্তা ক্রমশ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারেবারে প্রচার করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন চলে আসায় অনেকের মধ্যেই গাছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেটা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে এই বিষয়ে প্রচার করতে সরকার উদ্যাগী হয়েছে। তাছাড়া করোনার জন্য প্রায় এক বছরের কাছাকাছি স্কুল বন্ধ। বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে তাই আরও বেশি করে সচেতন করা দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই পাঠ্যপুস্তকে করোনা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিয়ে তাদেরকেও সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা পাঠ্যবইয়ের রূপকার দ্বীপেন বসু বলেন, সংক্রামক রোগ নিত্যসঙ্গী করে বাঁচতে হবে। প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ করতে হয়। তাই বিদ্যালয় স্তর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের অবহিত করার জন্য বিষয়টি সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।