করোনা মোকাবিলায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে ভালো কাজ করেছে বাংলা
গুজরাত(Gujrat) সহ বিজেপি(BJP) শাসিত রাজ্যগুলি সামাল দিতে হিমশিম খেলেও করোনার সংক্রমণ রুখতে ভালো কাজই করেছে পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal)। করোনা (COVID19) পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকে গত এক মাসের যে তুলনামূলক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, সেখানেই বাংলার উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সরকারিভাবে জানিয়েছে, ৫ মার্চের হিসেব মোতাবেক পশ্চিমবঙ্গে গত এক মাসে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৫ হাজার ৯৭, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে গ্রাফও ক্রমশ নিম্নমুখী। ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতিতে স্বস্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। যদিও ভোটের জমায়েত, সভা, মিছিলকে মাথায় রেখে রাজ্যকে সতর্ক থাকার পরামর্শই দিয়েছে কেন্দ্র।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল, কর্ণাটক, গোয়া, অসম, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গেরুয়া শিবিরের শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ থেকে ২১১ জন পর্যন্ত বেড়েছে। খোদ নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত? স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে এখানে সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কংগ্রেস-শিবসেনা-এনসিপি জোটের মহারাষ্ট্রে। এখানে দৈনিক তো বটেই, গত এক মাসেও অবস্থার কোনও বদল হয়নি। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী বলে পরিচিত মহারাষ্ট্রে গত এক মাসে দ্বিগুণেরও বেশি সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এক মাসে আগে এখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ১১৩ জন। এখন হয়েছে ৮৬ হাজার ৩৫৯ জন। কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, রাজস্থানেও দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। সেই হিসেবে বাম শাসিত কেরলে গত এক মাসের হিসেব মোতাবেক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, করোনা বিধি মেনে সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি টিকার মাধ্যমে তা আটকানোর বিষয়টিতেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। তবে টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে যেভাবে নেতিবাচক প্রচার চলেছে, তার জেরে টিকাকরণের হার কম ছিল বলেই মন্ত্রকের কাছে খবর। বিশেষত, সম্পূর্ণ দেশীয় টিকা কোভ্যাকসিন ৮১ শতাংশ কার্যকরী বলে রিপোর্ট আসার পর মানুষের মন থেকে সন্দেহ অনেকটাই দূর হয়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রক। সেই মতোই টিকাকরণে গতি এসেছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে প্রায় ১৪ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। যা রেকর্ড।
অন্যদিকে, নোভাভ্যাকস ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান আমেরিকা থেকে ঠিকমতো আসছে না বলেই দাবি করলেন সিরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। বিশ্ব ব্যাংকের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, মার্কিন সরকারের রপ্তানি নীতির জন্য ব্যাগ, ফিল্টারের মতো ভ্যাকসিন সংক্রান্ত নানা উপাদান পাচ্ছি না। এতে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত সব পক্ষের উদ্যোগ দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)র পক্ষে সংস্থার প্রধান গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় উৎপাদন কম আছে। তাই এই সমস্যা।