ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীতে নির্দল হয়ে লড়বেন আদি বিজেপি নেতা
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি(Dabgram Fulbari) বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে লড়াই করবেন আদি বিজেপি(BJP) নেতা অলোক সেন(Alok Sen)। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা ঘোষণা করেন। শুধু ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি নয়, শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রেও এমন ছায়াযুদ্ধের মেঘ ঘনীভূত হয়েছে বলে বিজেপিরই একাংশের ধারণা। তাঁদের বক্তব্য, দলবদলুদের প্রার্থী করায় বিজেপিতে ছায়াযুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিজেপির শাসক গোষ্ঠী অবশ্য একে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির আদি নেতাদের মধ্যে অলোক সেন অন্যতম। তিনি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক ও ট্রেডার্স সেলের রাজ্য কমিটির সদস্য পদে ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার দলত্যাগ করে তিনি নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিলের কথা ঘোষণা করলেন। একইসঙ্গে তিনি দলের প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন।
অলোকবাবু বলেন, ২০১২ সাল থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে বিজেপি করছি। সেসময় এখানে দলের ঝাণ্ডা ধরার মতো লোক ছিল না। ভালোবাসার টানে দল করেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের নীতি আদর্শের তোয়াক্কা করা হয়নি। প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজনপোষণ হয়েছে। আগামীতে বিজেপি দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের-বি টিম হিসেবে পরিচিত হবে। যে দল নিজের একনিষ্ঠ কর্মীদেরই চিনতে পারে না, সম্মান দেয় না, পরিশ্রমের মূল্য দেয় না, ভরসা রাখে না, সেই দল আগামীতে বাংলার মানুষকে কীভাবে ভরসা জোগাবে? তাই তৃণমূল থেকে নব্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের সঙ্গ ত্যাগ করছি। নির্দল হিসেবে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে লড়াই করব।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি একদা তৃণমূল করতেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিজেপির কোঅর্ডিনেটর প্রসেনজিৎ পাল অবশ্য বলেন, তিনি আমাদের পুরনো সঙ্গী। প্রার্থী নিয়ে মান-অভিমান হতেই পারে। তিনি দলে ফিরে আসবেন বলে আশাবাদী। তবে দল যোগ্য নেত্রীকেই প্রার্থী করেছে। আমাদের লড়াই তৃণমূল ও সিপিএমের বিরুদ্ধেই হবে। অলোকবাবু পাল্টা বলেন, হাজার চাপ আসলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি না। আজ, শুক্রবার তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
শুধু ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি নয়, শিলিগুড়িতেও অশনী সঙ্কেত দেখছে পদ্মশিবিরের একাংশ। এখানেও দলবদলু শঙ্কর ঘোষকে প্রার্থী করায় বিজেপিতে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যে দলের একাংশ জেলা পার্টি অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদের বক্তব্য, প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না বেশ কয়েকজন আদি নেতা-কর্মী। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, রাজনীতির ময়দানে আমরা অনেক নেতা-কর্মীকে হারিয়েছি। কাজেই টিকিট না পেয়ে যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা আসলে আত্মত্যাগ করা নেতা-কর্মীদের অসম্মান করছেন।