প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

করোনা আবহে আরও সক্রিয় সাইবার প্রতারকরা

April 15, 2020 | 2 min read

আঙুলের একটা ছোঁয়ায় ফাঁকা হচ্ছে অ্যাকাউন্ট। ঘরে বসে সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাসের আবহে থেমে নেই সাইবার প্রতারকরা বরং আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিনে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় নতুন উপায়ে সাইবার প্রতারণার একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। 

ইতিমধ্যেই তিন মাসের জন্য ইএমআই স্থগিত করার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইমতো সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিও তাদের গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে নীতি ঠিক করেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের মোবাইলে ব্যাঙ্কের নাম দিয়ে ভুয়ো এসএমএস ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। যেখানে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ঋণের ইএমআই স্থগিত রাখতে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং এসএমএস-এর শেষে দেওয়া একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে। 

এখানেই লুকিয়ে যাবতীয় কারসাজি। লিঙ্কে আঙুল ছোঁয়ালেই খুলে যাচ্ছে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট। যেটি দেখতে হুবহু সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের মত। এরপর ওই ভুয়ো ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকদের লোনের ইএমআই ছাড় পেতে একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হচ্ছে। যেখানে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। সবশেষে কারসাজি করে মোবাইলে আসা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দিয়েই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে প্রতারকরা।

সাইবার ক্রাইম

এছাড়াও দেশের এই আর্থিক সংকট কালে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার রিলিফ ফান্ড তৈরী করেছে। প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ড এবং ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডের মতো ফান্ডগুলিতে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ইউনিফাইড পেমেন্ট সার্ভিস (ইউপিআই) আইডি তৈরী করা হয়েছে। 

যেমন পিএম কেয়ার ফান্ডে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ইউপিআই আইডি হল pmcares@sbi। হুবহু এমন নকল আইডি তৈরী করে মানুষকে সর্বশান্ত করার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অদৃশ্য এই অপরাধীরা। ইতিমধ্যেই এমন একাধিক চক্রের হদিশ পেয়েছেন সাইবার শাখার গোয়েন্দারা। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের সতর্কীকরণের কাজ শুরু করেছে।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি করনীয়?

এটা একটা কঠিন সময়। মানুষকে আরও সাবধান হতে হবে। এই সময় কোনও থার্ড পার্টি লিঙ্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। যে ব্যাঙ্ক বা অর্গানাইজেশনের অনলাইন সুবিধা নেওয়া হচ্ছে সবসময় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ঢুকে কাজ করতে হবে। মোবাইলে যদি কোনও এসএমএস আসে তাহলে তার ডোমেইনটি সব সময় দেখে নিতে হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অর্গানাইজেশনের নাম থাকতে বাধ্য। 

এছাড়াও অনলাইনে কোনও সরকারি পরিষেবা ব্যবহারের আগে অ্যাড্রেসে .gov বা .in কিংবা nic mail রয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে। বিভাসবাবু বলেন, “এই সময় কোনও আনট্রাস্টেড ওয়েবসাইট বা পর্ণ সাইট ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলি ব্যবহার করলে কম্পিউটার বা মোবাইলে আগে থেকেই জেনারেল ম্যালওয়্যার ঢুকে বসে থাকতে পারে। ফলে আপনাআপনি সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য পৌঁছে যাবে প্রতারকদের হাতে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Corona pandemic, #lock down, #cyber crimes

আরো দেখুন