করোনার কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্স দু’মাস বৈঠকেই বসেনি
ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষ করে তাঁদের নজর ছিল বাংলায়। বাংলা জয়ের মোহে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুলেই গিয়েছিলেন করোনা ভাইরাসকে (Corona Virus)। তাই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে কোনও বৈঠকই করেনি করোনা মোকাবিলায় গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্স। অথচ এই সময়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রামিতের সংখ্যা। এমনই অভিযোগ করলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য বিজ্ঞানীরা। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কাঠগড়ায় তুললেন সরকারের উদাসীনতাকে। বিরোধীদের অভিযোগ, পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বৈঠক নিয়ে চূড়ান্ত অবহেলা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা লাগাতার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে কেন্দ্রকে। একাধিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
করোনা মোকাবিলায় বিশেষ কোনও পদক্ষেপই করেনি কেন্দ্র। অভিযোগের বাণে বিদ্ধ মোদি সরকার। সঙ্কটের এই মুহূর্তে চূড়ান্ত গাফিলতির আরও এক উদাহরণ সামনে এল। কোভিড নিয়ে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠিত ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক টাস্কফোর্স গত দু’মাস ধরে কোনও বৈঠকই করেনি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা কোনও বৈঠকই করেনি। মারাত্মক এই অভিযোগ তুলেছেন ওই টাস্কফোর্সের তিন বিজ্ঞানী। এমনকী তাঁদের মধ্যে একজনের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রসঙ্গটি তিনি উত্থাপন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
তাঁরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে শেষ বার বৈঠক হয়েছিল জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে। তারপর অবস্থার অবনতি হলে ১৫ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিল দু’টি বৈঠক করেন তাঁরা। ততদিনে যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ১ মার্চ আক্রান্ত ছিল সাড়ে ১৫ হাজার। সেখানে একমাস পরে ১ এপ্রিল সংখ্যা পৌঁছয় ৭২ হাজারের কিছু বেশি। আর ৫ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ প্রথমবারের জন্য লক্ষ পেরিয়ে যায়। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, সরকার আমাদের রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক নেতারা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিচ্ছে। আমাদের রাখা হয়েছে সম্মতির জন্য। ওই সদস্যদের নিশানায় রয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
অভিযোগ, ২০২০ সালের জুলাই মাসে করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত শেষ প্রোটোকল প্রকাশ করে আইসিএমআর। তারপর থেকে গত ন’মাস ধরে কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। ভারতে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে রেমডিসিভির। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ওষুধ ব্যবহার নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। তবু স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড চিকিৎসার জন্য নতুন করে কোনও গাইডলাইন প্রকাশ করেনি।