‘মা ক্যান্টিন’ চালু হবে রাজ্যজুড়ে
কোনও মানুষ যাতে অনাহারে না থাকেন, তার জন্য ভোটের আগে ‘মা ক্যান্টিন’ (Maa Canteen) চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সেই ক্যান্টিন চালু হয়। যেখান থেকে পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত পাওয়া যায়। রোজই দেখা যায়, লাইন দিয়ে মানুষ ডিম-ভাত নিচ্ছেন। এসএসকেএম হাসপাতাল সহ কয়েকটি জায়গার মা ক্যান্টিনে খুবই ভিড় দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পকে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে পুরদপ্তর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে পর্যায়ক্রমে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে মা ক্যান্টিন খুলতে চলেছে সরকার। এর জন্য প্রতিটি পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মা ক্যান্টিন চালু হয়। পুরসভার উদ্যোগে তা চলে। কাউন্সিলাররা থাকেন তত্ত্বাবধানে। এই ক্যান্টিন থেকে পথ চলতি মানুষ দুপুরে পেট ভরা ডিম-ভাত পাচ্ছেন, মাত্র পাঁচ টাকায়। এবার সেই ক্যান্টিন চালু হবে বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রকল্পের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট ধরেছিলেন ১০০ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে তা বাড়তে পারে। ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের চাপে কিছুটা থমকে গিয়েছিল, নতুন সরকার গড়ার পরে প্রকল্পটি রূপায়ণে ফের উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ ব্যাপারে নতুন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প রূপায়ণ করাই আমার অন্যতম কাজ। আমি সেইমতো শহরাঞ্চলে মা ক্যান্টিন চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছি। এর জন্য পুরদপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। খুব শীঘ্রই জেলা শহরগুলিতে পর্যায়ক্রমে তা চালু হয়ে যাবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রতিটি পুরসভাকে সেফ হোম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ি রাখার জন্যও। যাতে মানুষ অ্যাম্বুলেন্স পায় তার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পুরমন্ত্রী। করোনায় মৃতদের দাহ করতে চুল্লির সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি দপ্তরের অফিসারদের একটি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই সমীক্ষায় দেখা হবে কোথায় কোথায় বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে। তার মধ্যে কোনগুলিকে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জন্য দাহ করা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনায় মৃতদের দাহ করা নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছে সরকার। ধাপায় আলাদা চুল্লি তৈরি করা হলেও মৃতদেহের সংখ্যা একসঙ্গে অনেক হয়ে গেলে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। এজন্য দু’দিন নিমতলা শ্মশানে শুধুমাত্র করোনার মৃতদেহগুলি দাহ করা হয়।