আম্পান মোকাবিলার অভিজ্ঞতা যশের বিরুদ্ধে এবার নবান্নের ঢাল
শিক্ষা দিয়েছে আম্পান। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর মোকাবিলায় আগাম প্রশাসনিক প্রস্তুতি সেরে রাখল নবান্ন। সম্ভাব্য বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রাজ্যের প্রধান সচিবালয় সংলগ্ন নতুন ভবন ‘উপান্নে’ খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতির উপর সার্বিকভাবে নজর রাখা হচ্ছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও খোলা হয়েছে আলাদা কন্ট্রোল রুম।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গল ও বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে হাজির থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করবেন। বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমে আগামী ২৫ ও ২৬ মে হাজির থাকবেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
রাজ্যের উপকূল সংলগ্ন তিন জেলা—দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরেই ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা সবথেকে বেশি। তাই সেখানে ইতিমধ্যে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিস-প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে বিপর্যয় মোকাবিলার রূপরেখা প্রস্তুত করছেন। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় প্রস্তুত করা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টার সহ বিপর্যয় মোকাবিলার যাবতীয় পরিকাঠামো। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকের মাধ্যমে চলছে প্রচার। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী কালের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জল ও আকাশপথে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গুজরাত থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল রাজ্যে এসেছে। তাদের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। আরও কয়েকটি দল রাজ্যে আসতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।