চুক্তিপত্রে সই করুন, বিনিয়োগকারীদের চাপ ইস্টবেঙ্গলকে
ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব (East Bengal Club) কর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সমস্যা সমাধানের কোনও রাস্তাই যেন বের হচ্ছে না। বহু নাটকের পর বিনিয়োগকারী সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, আইএসএলের জন্য বিনিয়োগকারীরা নিজেদের কাজ শুরু করে দিতে পারে। তবে মজার বিষয়, সেই চিঠিতে নাকি কোথাও স্পোর্টিং রাইটসের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই।
এই মাসের শুরুতে শ্রী সিমেন্টের তরফে ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, চুক্তিপত্রের কোথায় অসঙ্গতি বা সমস্যা রয়েছে? তবে এর আগেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে সমস্যাগুলির কথা পরিষ্কার করে বলা হয়েছিল। তবে ইস্টবেঙ্গল নতুন যে চিঠি বিনিয়োগকারী সংস্থাকে পাঠিয়েছে, তাতে অবশ্য আইএসএলের দল গড়ার কথা বলা রয়েছে। এরই সঙ্গে বাকি সমস্যা বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বসে কর্তারা যে মিটিয়ে নেবেন, সেটারও উল্লেখ রয়েছে। ক্লাব নাকি বিনিয়োগকারীদের সব রকম সাহায্য করতেও তৈরি।
শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা চিঠিটা পড়ার পরই নাকি যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। এবং এর উত্তরও দেবেন। আশা করা হচ্ছে, বুধ বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রী সিমেন্টের তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হবে। তবে তিনি এটাও বলে দিয়েছেন, ‘যতক্ষণ না মূল চুক্তিপত্রে ইস্টবেঙ্গল সই করবে, ততক্ষণ আইএসএল নিয়ে কিছুই ভাবতে চাই না। চুক্তিপত্রে সই করলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’
লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি আবার, চুক্তিপত্রে সই করলেই নাকি পুরো ক্লাবটাই শ্রী সিমেন্টের হাতে চলে যাবে। এক কথায়, ক্লাবটি বিক্রি হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে হরিমোহন বাঙ্গুরের দাবি, ‘মোহনবাগান তো বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তার মানে কী ওরা বিক্রি হয়ে গিয়েছে? ওদের ফুটবল স্বত্ব এটিকে-কে ওরা দিয়েছে। আমরা ক্লাব কেনার চেষ্টা করছি না। ক্লাবের উন্নতির চেষ্টা করছি।’
এরই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘সদস্যদের অধিকার খর্ব করার কোনও বিষয়ই নেই। কোনও বিনিয়োগকারী সংস্থা চাইবে না, সদস্যরা ক্লাব ছেড়ে চলে যাক। সদস্য-সমর্থকরাই তো ক্লাবের সম্পদ।’
তবে জুন মাসের মধ্যেই আইএসএল খেলার জন্য এফএসডিএলকে ১৮ কোটি টাকা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন না নেওয়া হলে আইএসএল খেলতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল।