এবার মোবাইলেই বাজার, ‘নেচার বাজার’ অ্যাপ আনছে রাজ্য

রান্নাঘরের সমস্ত পণ্যই ‘নেচার বাজার’ নামে ওই অ্যাপ মারফত মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দেব। গ্রাহক পণ্য পছন্দ করে কিনতে পারবেন। এছাড়া রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারিও চালু থাকছে।

June 9, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ঘরে বসে মোবাইল ফোনেই বাজার করার সুযোগ এনে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বঙ্গবাসীর দুয়ারে এবার সরকার হাজির করছে ‘নেচার বাজার’ (Nature Bazaar)। চাল থেকে তেল-নুন, মাংস থেকে ডিম-মাছ, মায় গুঁড়ো মশলা, অর্ডার করলেই বাড়ি বয়ে দিয়ে আসবে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্ত সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (সিএডিসি)। ‘নেচার বাজার’ নামে ওই অ্যাপে পণ্য বাছাই করে, দাম জেনেই কেনাকাটা করার সুযোগ থাকবে। কার্যত দেশের মধ্যে প্রথম কোনও রাজ্য সরকার অ্যাপ নির্ভর পণ্য পরিষেবা দিতে আসরে নামছে। ডিজিটাল ভারত নির্মাণ কবে হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু ডিজিটাল বিপণন নিয়ে এবার আমজনতার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর।

জুন মাসের শেষদিকে ওই অ্যাপ নির্ভর পরিষেবা চালুর চেষ্টা চলছে। তাহলে কি তার আগে মোবাইল ফোন টিপে বাজার করা যাবে না? তারও ব্যবস্থা রেখেছে সিএডিসি। সংস্থার বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মারফত পণ্য পরিষেবা চালু করে দিচ্ছেন কর্তারা। মঙ্গলবার ওই পরিষেবার জন্য একটি নিজস্ব বিপণী চালু করেছে সিএডিসি। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সল্টলেকে ওই বিপণীর উদ্বোধন করেন। রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় এই ধরনের বিপণী খেলার পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে আপাতত কলকাতা শহরেই মিলবে এই পরিবেষা। অ্যাপ চালু হলে প্রথম পর্বে পরিষেবা মিলবে দক্ষিণবঙ্গে।

সিএডিসি’র কর্তা তথা পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, আমাদের নিজস্ব খামার আছে। সেখানে মাছ, খাসি-মুরগির মাংস, ডিম, সব্জি উৎপাদন হয়। রান্নাঘরের সমস্ত পণ্যই ‘নেচার বাজার’ নামে ওই অ্যাপ মারফত মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দেব। গ্রাহক পণ্য পছন্দ করে কিনতে পারবেন। এছাড়া রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারিও চালু থাকছে।

আধুনিক সময়ে মানুষের বাড়িতে সব কিছু পৌঁছে দিতে বেসরকারি সংস্থাগুলি উঠেপড়ে লেগেছে। জামা, জুতো থেকে ঝাড়ু পর্যন্ত মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। দেদার কিনছে আমজনতা। এই প্রতিযোগিতায় শামিল হচ্ছে রাজ্য সরকারও। তবে, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে থাকছে কেবল পঞ্চায়েত দপ্তরের নিজস্ব উৎপাদিত সামগ্রীই। মূলত, রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণই তাতে থাকবে। তবে তাতে বাহারি সামগ্রীও থাকছে। নানা ধরনের মুরগি ও খাসির মাংসের সঙ্গে থাকছে মাংসের নির্দিষ্ট অংশ বাছাই করার সুবিধাও। নানা ধরনের মাছ, চাল, ডাল, তেল-মশলা, মায় বড়ি এবং ঘি পর্যন্ত মিলবে সরকারি ‘মুদি দোকানে’। কর্তাদের দাবি, ‘নেচার বাজার’ এর মুখ্য বৈশিষ্ট্য হল সব পণ্যই ‘ন্যাচারাল’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen