নাতনির খাবার জোগাতে বেহালা হাতে রাজপথে বৃদ্ধ, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রাজ
ছোট নাতনির জন্য খাবার জোগাতে ফুটপাতে বসে বেহালা বাজান ভগবান মালি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফুটপাতের বেহালাবাদকের সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বিধায়ক ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। ‘সবুজ সঙ্গী’-র সদস্যদের সাহায্যে সোমবার দেখা করেন শিল্পীর সঙ্গে। বিভিন্নভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেন ভগবান মালিকে।
নাতনি হয়েছে, খবর পেয়ে মালদহ থেকে স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতায় মেয়ের কাছে এসেছিলেন ভগবান মালি। অতিমারী (Pandemic) পরিস্থিতির কড়া বিধিনিষেধে আটকে পড়েন। মেয়ে-জামাইয়ের এক কামরার অভাবের সংসার। জামাইয়ের রোজগার বন্ধ। তাই রোজগারের আশায় বেহালা কাঁধে রোজ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন ভগবান মালি। শ্রবণশক্তি কমেছে। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, মুখে সাদা দাড়ি। গিরিশ পার্ক এলাকায় কখনও ঘুরে ঘুরে, কখনও ফুটপাতে বসে বাজিয়ে চলেন বেহালা। দিনের শেষের উপার্জন দিয়ে চাল-ডাল কিনে ফেরেন বাড়ি।
করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে ভগবান মালির দুর্ভোগের কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। রাজ চক্রবর্তীর নজরে আসতেই তিনি শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ‘সবুজ সঙ্গী’-র সদস্যরা ভগবান মালিকে নিয়ে পৌঁছে যান রাজ চক্রবর্তীর কাছে।
হুগলি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষ বলেন, “রাজ চক্রবর্তী ফেসবুকে (Facebook) লেখার পরেই আমরা ‘সবুজ সঙ্গী’র তরফে ভগবান মালিকে খুঁজে বের করি। রাজ চক্রবর্তীকে সোমবার সকালে খবর দিই। উনি সোমবারই দেখা করেন।” কাজ দেওয়া, থাকার ব্যবস্থা করা ও নাতনির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। জানান কুন্তলবাবু। রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে খুশি ভগবান মালিও। তিনি বলেন, “আমি বলেছি, যে কোনও সুর দিলেই আমি বাজিয়ে দেব।” রাজ নিজেও ভগবান মালির সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্ত টুইটারে শেয়ার করেছেন।