৭৩৮ জন গ্রামীণ গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করবে রাজ্য
রাজ্যের গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিতে বর্তমানে কমবেশি প্রায় চার হাজার শূন্য পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০০ গ্রামীণ গ্রন্থাগারে খালি থাকা ৭৩৮টি গ্রন্থাগারিকের পদে লোক (rural librarians) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আগামী আগস্টে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবার রাজ্য গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই বিরাট সংখ্যক কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেন দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। একই সঙ্গে মন্ত্রী এদিন বই পড়ুয়াদের স্বার্থে কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা গ্রন্থাগারগুলি পুনরায় খোলার সুসংবাদও শুনিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড (Covid19) বিধি মেনে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন রাজ্যের সব গ্রন্থাগার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে সোম ও বুধবার খোলা রাখা হবে গ্রন্থাগারগুলি।
মন্ত্রী এদিন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলির একটা বড় অংশে গ্রন্থাগারিক সহ নানা পদে লোক নেই। এই শূন্য পদের সংখ্যা সাকুল্যে চার হাজার হবে। লোকাভাবের কারণে বহু গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের অসুবিধা হচ্ছে। এসবের প্রেক্ষিতে এদিন জেলা গ্রন্থাগারিকদের নিয়ে আয়োজিত বিভাগীয় বৈঠকে প্রথম দফায় ৭৩৮টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারিকের পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন জেলাওয়াড়ি লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি গঠন করা হবে নতুন করে। জেলাশাসকের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত সেই কমিটি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুত সারবে। একই সঙ্গে ই-গ্রন্থালয় প্রকল্পও দ্রুত বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপাতত পাঁচটি গ্রন্থাগারে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এনআইসির সহায়তায় পাইলট প্রকল্প চালু হতে চলেছে। ইলেকট্রনিক মোডে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ুয়ারা বিশাল বইয়ের ভাণ্ডারের সংস্পর্শে আসতে পারবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত তিনি জানান, এবছর জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের খাতে বাজেট বরাদ্দ ২৬.৮৬ কোটি বেড়ে মোট ৩৮১. ৫৬ কোটি হয়েছে।
গ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, কোভিড আবহের বছরে দপ্তর ২৭৯৩ জন অনাথ ও গরিব ছাত্রছাত্রীর থাকাখাওয়া এবং পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছে। দপ্তরের অধীনে থাকা ৪টি বিশেষ বিদ্যালয়ে তারা এই সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য ৪.১৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে দপ্তর। এই ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছে। এদের জন্য একটি কলেজ তৈরি করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে উচ্চশিক্ষার কারণে। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে দপ্তরের তরফে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের সবুজ সঙ্কেতের জন্য। আগামী শীতে তাঁর দপ্তর কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় বইমেলার আয়োজন করবে বলেও মন্ত্রী এদিন জানান।