৭ আগস্ট পালিত হবে জাতীয় জ্যাভেলিন দিবস
ওলিম্পিকসে সোনা জিতেই থেমে থাকতে রাজি নন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। এবার তাঁর লক্ষ্য, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়া। টোকিওতে সোনা জয়ী এই জ্যাভেলিন থ্রোয়ারকে মঙ্গলবার সংবর্ধিত করেছে ভারতীয় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। সেই অনুষ্ঠানে নীরজের মন্তব্য, ‘আমার ঝুলিতে রয়েছে এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং ওলিম্পিক সোনা। এবার বিশ্ব মিটে সেরা হতে চাই।’ উল্লেখ্য, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আগামী বছর আমেরিকার ওরেগনে ১৫ থেকে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরেই এই মেগা ইভেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টোকিও গেমস এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় বিশ্ব মিটের সূচিও পরিবর্তন হয়েছে।
কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চান ভারতের ‘সোনার ছেলে’। টোকিওতে ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে জিতেছেন স্বর্ণপদক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়ের লক্ষ্যে ৯০ মিটারের বেশি জ্যাভেলিন ছোড়া অভ্যাস করতে চান। ২৩ বছর বয়সি ভারতীয় অ্যাথলেটিকসের ‘পোস্টার বয়’ বলেন, ‘ওলিম্পিকসের থেকেও বিশ্ব মিটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। তবে ভালো ফলের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
বিশ্ব মিটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নীরজের আদর্শ অঞ্জু ববি জর্জ। এদিন সংবর্ধনা মঞ্চে তাঁকে উদ্দেশ্য করে নীরজ বলেন, ‘অঞ্জু ম্যাডাম বিশ্ব মিট থেকে পদক এনেছেন। আমিও সেটা জিততে চাই।’ ২০০৩ প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন এই লং জাম্পার। বর্তমানে তিনি এএফআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। অঞ্জুর বক্তব্য, ‘ভারতীয় অ্যাথলেটিকসের এখন গর্বের সময়। নীরজের সাফল্যে দেশীয় অ্যাথলেটিকসে জোয়ার আসবেই।’
ভারতীয় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের (এএফআই) ৭ আগস্ট দিনটিকে জাতীয় জ্যাভেলিন দিবস (National Javelin Day) হিসেবে পালন করবে। নীরজের সোনা জেতার দিনটিকে এভাবেই স্মরণীয় করে রাখতে চায় অ্যাথলেটিকস সংস্থা। এএফআইয়ের পক্ষে ললিত ভানোত জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর থেকে ৭ আগস্ট দিনটিতে বিভিন্ন রাজ্যে জ্যাভেলিন থ্রো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করব। অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে জ্যাভেলিন দেওয়া হবে।’ নীরজ বলেন, ‘আমার সাফল্যকে এভাবে স্মরণীয় করে রাখার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম আরও বেশি করে অ্যাথলেটিকসে আসুক।’ এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন নীরজের বাবা সতীশ চোপড়া, মা সরোজা দেবী ও কাকা ভীম চোপড়া। তাঁরা একবাক্যে বলেছেন, ‘দায়বদ্ধতা এবং পরিশ্রমের জোরে নীরজ এই উচ্চতায় উঠেছে। আমরা ছোটবেলা থেকে ওকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়েছি। ও চিরকালই নিশানায় নির্ভুল। সেই কারণেই নীরজ জ্যাভেলিনে সফল হয়েছে। ওর হাত ধরে এই খেলা দেশে আরও জনপ্রিয় হবে।’