অত্যাধিক জনপ্রিয়তার কারণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে অনুশীলনে, হতাশা প্রকাশ নীরজের
৭ অগস্ট টোকিওয় অলিম্পিক্সের মঞ্চে ভারতীয় তেরঙ্গার শোভা বাড়িয়ে স্বাধীন ভারতকে প্রথমবার অ্যাথলেটিক্সে সোনা এনে দেন নীরজ চোপড়া। তারপর থেকে শুভেচ্ছা, অভ্যর্থনায় ভাসছেন ‘সোনার ছেলে’। তবে তাঁর সফরটা কিন্তু সবসময় এত মসৃণ ছিল না। টোকিওর আগেই ২০১৯ সালে কনুইয়ে চোট পেয়েছিলেন নীরজ, করতে হয়েছিল সার্জারি। সেই হতাশার সময়ে কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রেখেছিলেন নীরজ?
Bounce Back Bharat Fest-এ স্বর্ণপদক জয়ী জানান, ‘স্বাভাবিকভাবেই মাথায় নেতিবাচক চিন্তা তো সেইসময় এসেছিলই। চোটআঘাত অ্যাথলিটের নিত্যসঙ্গী, টুর্নামেন্টের আগে পরে হলেও অসুবিধা ছিল না। অলিম্পিক্স সামনে ছিল এবং ওই বছরেই (দোহা) বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপও আয়োজিত হচ্ছিল। তাই এমন সময়ে চোট পাওয়ায় নিঃসন্দেহে হতাশ হয়েছিলাম। তবে দিনের শেষে এসবের ওপর কারুরই নিয়ন্ত্রন থাকে না। এমন সময়ে যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকার দরকার। রিহ্য়াব এবং ট্রেনিংয়ে ফোকাস থাকলে কিন্তু ফিট হতেও সুবিধা হয়। বেশি নেগেটিভ চিন্তাভাবনা সেই সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
সোনা জয়ের পর বেশ কিছু সময় কেটে গেলেও একাধিক স্থানে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকারের পালা অব্যাহত। রাতারাতি নীরজের ফ্য়ান ফ্লোয়িংও আকাশচুম্বীভাবে বেড়ে যায়। গোটা বিষয়টা স্বাভাবিক হলেও নীরজ চান যাতে সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে হোক যাতে তাঁর ট্রেনিংয়ে কোন বাধা না আসে। ‘পদক জিতলে সাক্ষাৎকার এবং বাকি সবকিছু হবে সেটার কল্পনা ছিলই। তবে আমি ভেবেছিলাম এর পাশপাশি সমান তালে আমার অনুশীলনও চলতে থাকবে। কিন্তু এখন সেটা একটু হলেও ব্যাহত তো হচ্ছেই। অ্যাথলিটের প্রধান কাজ অনুশীলন করা এবং পরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য প্রস্তুতি করা। সবকিছুর সঙ্গে যাতে অনুশীলনে কোনরকম বাধা সৃষ্টি না হয়, সেটা দেখতে হবে। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে আরও উন্নতি দরকার।’ দাবি তাঁর।