লক্ষ্য পুরসভা ভোট, ত্রিপুরায় নিবিড় জনসংযোগে তৃণমূল
নিবিড় জনসংযোগ গড়তে শুক্রবার ২২ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরায় পুরোদমে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’। কর্মসূচি সফল করতে আগরতলা থেকে তিনটি দলে ভাগ হয়ে ত্রিপুরার শহর এবং গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবেন তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা। এর জন্য তৃণমূলের লোগো লাগানো দশটি গাড়ি কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষক থেকে শহুরে বাবু, সকলের সঙ্গেই আলাপচারিতা সেরে তুলে ধরা হবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প। একইসঙ্গে আগামী নভেম্বরে ত্রিপুরায় পৌর পরিষদ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোট প্রস্তুতিও সেরে নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার আগরতলায় ছিল ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠক। আগরতলার একটি হোটেলে বৈঠকে ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিং, শর্মিষ্ঠা দেব সরকার, মামন খান–সহ যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক বাপ্টু চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা। বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘন্টা। সভাতে কীভাবে এই কর্মসূচি সফল করে করা যাবে সে নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন সদস্যরা।
সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষকে তৃণমূলের কাছে আসতে হবে না। তৃণমূলই তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে। শহর থেকে গ্রাম, প্রতিটি ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত কেন্দ্রে পৌঁছে যাব আমরা। সাধারণ মানুষকে জানাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্য কী করতে চাইছেন। মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলব চায়ের দোকানে বসে বা বাজারে দাঁড়িয়ে। গড়ে তুলব সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।’
যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক বাপ্টু চক্রবর্তী বলেন, ‘ত্রিপুরায় খেলা শুরু হয়ে গেছে। নভেম্বরে ১৩টি পৌর পরিষদ এবং ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে। প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এই জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিটাও ঝালিয়ে নিতে পারব। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই বিশেষ কর্মসূচি চলবে।’
জনসংযোগে কী কী বিষয় তুলে ধরা হবে সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে ত্রিপুরার আরেক তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনকল্যাণের জন্য যে যে প্রকল্প নিয়েছেন তার সবকটি প্রকল্প নিয়েই আলোচনা হবে। কলকাতা থেকে আসা এই গাড়িগুলি নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। বলব, যদি পাশের রাজ্যের জনগণ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে এরাজ্যের মানুষ কেন পাবেন না?’