রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘ওঁরা করলে রাসলীলা, আমরা করি তো ক্যারেক্টার ঢিলা’ সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা কৃষ্ণ কল্যাণীর

October 30, 2021 | < 1 min read

তৃণমূলে যোগদানের পরেই শুক্রবার প্রথম রায়গঞ্জে আসেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। নিজকেন্দ্রে পা রেখেই সরাসরি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেন অধুনা তৃণমূল নেতা। কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে সুকান্তের দাবি ছিল তৃণমূলে যোগদান করলে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেই যোগদান করা উচিত। সে প্রসঙ্গেই সরাসরি রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।

তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন, ‘বিজেপিতে থেকে কাজ করা যায় না। তাই আমি তৃণমূলে এসেছি। আর সুকান্তবাবুকে জানাতে চাই, তৃণমূলের দুজন সাংসদ এখন বিজেপিতে। তাহলে তাঁদের জন্য এক নিয়ম আমাদের জন্য অন্য নিয়ম কেন? সব দলের জন্যই তো এক নিয়ম হওয়া উচিত। ওঁরা করলে রাসলীলা, আমরা করি তো ক্যারেক্টার ঢিলা’!

তবে নাম উহ্য রাখলেও কোন দুই সাংসদকে কৃষ্ণ কটাক্ষ হানলেন তা স্পষ্টই রাজনৈতিক মহলের কাছে। অধিকারী পরিবারের ‘কর্তা’ শিশির অধিকারী ও তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র দিব্যেন্দু উভয়েই তৃণমূলের সাংসদ। খাতায় কলমে তাঁরা তৃণমূলের তরফে হলেও প্রচ্ছন্ন সমর্থন বিজেপিতেও। অমিত শাহের সভামঞ্চ থেকে নিজের পুত্রের পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন শিশির, তো অন্যদিকে দিব্যেন্দুর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি ঘটে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গে কার্যত দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে তৃণমূল। একে একে সমস্ত সরকারি ও প্রশাসনিক পদ থেকেও সরানো হয়েছে অধিকারীদের। সেদিক থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী যে আকারে ইঙ্গিতে অধিকারী পরিবারকেই নিশানা করলেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#sukanta majumder, #Krishna Kalyani, #bjp, #tmc

আরো দেখুন