গ্রেগ চ্যাপেলের নিশানায় শুধু সৌরভ নন, ছিলেন সচিন ও সেহওয়াগও!
শুধু সৌরভ নয়, গ্রেগ চ্যাপেলের নিশানায় এবার সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। চ্যাপেলের সময়কালে এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গেও মত পার্থক্য হয়েছিল গ্রেগ চ্যাপেলের। নিজের বই ‘নট আউট’-এ গ্রেগ সেই ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে সচিনকে চার নম্বরে ব্যাট করানো হয়। সচিন নিজে সব সময় ওপেনই করতে চেয়েছিলেন। স্বভাবতই এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ভারত। নিজের বইতে সেই ঘটনার কথা তুলে ধরেন চ্যাপেল।
সচিনকে কেন ওপেন থেকে চার নম্বের আনা হয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রেগ লিখেছেন, ‘২০০৭ বিশ্বকাপের আগের বছরেই আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলাম। সেখানে চোটের জন্য সচিন ছিল না। ওই সফরে দেখেছিলাম, মাঝের দিকে উইকেট মন্থর হয়ে আসছে। ব্যাটিং খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমরা ঠিক করি, মাঝের দিকে খুব ভাল এক জন ব্যাটসম্যানকে দরকার, যে কি না ইনিংসটাকে মজবুত করতে পারবে। এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সেই কারণে সচিনকে চার নম্বরে ব্যাট করানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সচিনকে ওপেন থেকে সরাতে যাওয়া মানে তাজমহলকে আগ্রা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার।’
নিজের বইতে সেহওয়াগ নিয়ে বলতে গিয়ে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দুর্বলতা রয়েছে তোমার। যদি আরও পরিশ্রম করো, আরও ভালো ফল পাবে।’ যা শুনে বীরু নাকি তাঁকে পাল্টা বলেন, ‘বীরু ফাস্ট বোলারদের ভয় পায়? ফাস্ট বোলাররাই বীরুকে ভয় পায়।’ গ্রেগের মন্তব্য, ‘ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে যে কোনও বোলারকে শেষ করে দিতে পারত সেহওয়াগ। কিন্তু ফিটনেস আর টেকনিক নিয়ে আরও খাটলে আরও ভালো করতে পারত। দারুণ সব টেস্ট ইনিংস খেলেছে ও ঠিকই। কিন্তু টেস্টে ৪৯ ব্যাটিং গড় নিয়ে শেষ করেছিল ও। কিন্তু ওর টেস্ট গড় হতে পারত ৬০।’ ২০০৭ বিশ্বকাপের পরে ভারতীয় দলের কোচের চাকরি হারিয়ে ছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। তার মাঝে তৈরি হয়েছিল বহু বিতর্ক। অনেকেই মনে করেন এখন নিজের বই-এর মাধ্যমে সকলের সামনে আত্মপক্ষ রাখছেন চ্যাপেল। তবে সত্যি কোনটা তা জানা যাবে দুই পক্ষের কথা শোনার পরেই।