অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ ভোলা, বিপাকে বিজেপি
সোমবার আরমান-সহ মোট ৩ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। তাদের ১১ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এ বার অস্ত্র আইনে (Arms Act) পুলিশের জালে ধরা পড়ল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত শেখ আমির ওরফে আরমান ভোলা। যদিও আরমানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
তমলুক থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপোতা টোলপ্লাজার কাছে দুই সঙ্গী-সহ বছর চল্লিশের আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরমান হলদিয়ার বাসিন্দা। সোমবার আরমান-সহ মোট ৩ জনকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। তাদের ১১ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্নের মুখে পড়েন শুভেন্দু। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়েই হলদিয়ার ভোলাকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক। শুভেন্দুর জবাব, ‘‘ঘনিষ্ঠ শব্দটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি।’’ এর পরেই শুভেন্দুর যুক্তি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ২ মে-র পর থেকে ৩ হাজারের বেশি মিথ্যা মামলা রুজু হয়েছে। হলদিয়া থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত সর্বত্র এমন মামলা হয়েছে।’’ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকি প্রতিটি অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই মামলাগুলির ৯০ শতাংশই মিথ্যা। এটা বাংলায় নতুন কিছু নয়। সপ্তাহে সপ্তাহে মামলা হচ্ছে। এগুলো খুব ভুল হচ্ছে। এ সব করে বিরোধীদের রোখা যাবে না।’’
একটি কারখানার সামান্য শ্রমিক থেকে খুব অল্প সময়েই হলদিয়ার ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছিল আরমান। হলদিয়ার রাজনৈতিক মহলের ঢুঁ মারলেই শোনা যাবে আরমানে রকেটগতিতে উত্থানের সেই কাহিনি। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে রাজনীতি থেকে জেলা প্রশাসনের অন্দরে ছিল আরমানের অবাধ যাতায়াত। গত বছরের নভেম্বরেই হলদিয়ায় আরমান এবং তার দলবলকে দেখা গিয়েছে ‘দাদার অনুগামী’র ভূমিকায়। তবে শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আরমান গা ঢাকা দেয়। ভিন্রাজ্য থেকে একাধিক বার নেটমাধ্যমে লাইভে হলদিয়ায় ফিরে আসার বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে তাকে। সেই আরমান গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।