‘শক্ত ঘাঁটি’ হলেও আত্মতুষ্টি নয়, সুন্দরবনে জনসংযোগ বাড়াতে জেলার নেতৃত্বকে বার্তা অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,৯:০০: সুন্দরবন (Sundarbans) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম দুর্গ। ২০২৪ লোকসভা ভোটে এই জেলার জয়নগর ও মথুরাপুর-দু’টি কেন্দ্রেই তৃণমূল আগের তুলনায় আরও বেশি ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ২০২১ বিধানসভা ভোটেও জেলার সব আসনেই জোড়াফুল জিতেছিল। এবার সেই রেকর্ড ২০২৬-এও বজায় রাখার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
বৃহস্পতিবার ক্যামাক স্ট্রিটে সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার, মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, শ্যামল মণ্ডল, যোগরঞ্জন হালদার, সমীরকুমার জানা প্রমুখ। বৈঠকে পর্যালোচনা হয় ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলের। জয়নগরে তৃণমূল (TMC) ৪ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়, ভোট শতাংশ ৬০। মথুরাপুরে জয়ের ব্যবধান ছিল ২ লক্ষের বেশি, ভোট শতাংশও ৫০ ছাড়িয়েছে। ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশেই তৃণমূলের বড় লিড রয়েছে।
তবে এ সবকিছুর মধ্যেও আত্মতুষ্টি এড়াতে সতর্ক করেন অভিষেক। তিনি বিধায়কদের পরামর্শ দেন ঘরে না বসে নিয়মিত সরকারি প্রকল্পভিত্তিক ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে যোগ দিতে। বৈঠকে উপস্থিত এক বিধায়ক বলেন, “প্রতি বুথে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। ফলে একটি বিধানসভায় ২৫-৩০ কোটি টাকা যাচ্ছে। এই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান হচ্ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন নেতৃত্ব।”
সুন্দরবন অঞ্চলের বহু মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান। তাঁদের সমস্যা দ্রুত খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনে সাহায্য করার দিকেও নজর দিতে বলেন অভিষেক। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশও দেন তিনি।
সংগঠনের ব্লকস্তরের রদবদল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে টানা নির্বাচনী সাফল্যের কারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন অনেকেই। কেবল যেখানে গোষ্ঠী বিভাজন তীব্র, সেখানেই বদল হতে পারে।
আজ, শুক্রবার অভিষেক বৈঠক করবেন পশ্চিম বর্ধমান ও কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরে আগে বৈঠক স্থগিত হয়েছিল তাঁর দিল্লি সফরের কারণে।