পানিহাটিতে অভিষেক, দেখা করতে গেলেন NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী প্রৌঢ়ের পরিবারের সঙ্গে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি ১০.৪৫: মঙ্গলবার থেকে বাংলায় শুরু হয়েছে SIR, সেই দিনই NRC-র আতঙ্কে আগরপাড়ার মহাজাতি নগরের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর নিজের আবাসনে আত্মঘাতী হন। এই মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃত প্রদীপ করের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ পানিহাটিতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সূত্রের খবর, আজ দুপুর দুটো নাগাদ পানিহাটিতে যেতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
মঙ্গলবার সকালে আগরপাড়ার মহাজাতি নগর এলাকায় নিজের আবাসন থেকে প্রদীপ করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়েরি। সেই ডায়েরির একটি পাতায় লেখা ছিল, ‘এনআরসি আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এই নির্মম খেলা চিরতরে বন্ধ করুক। বাংলা কখনও এনআরসি অনুমোদন করবে না এবং কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা বা স্বত্ব কেড়ে নিতে দেবে না।’’
বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, সকালে খবর পেয়ে প্রদীপ করের আবাসনে যায় পুলিশ। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির লোকজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এনআরসি সংক্রান্ত নানা খবর নিয়ে প্রদীপ চিন্তিত ছিলেন। বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘সোমবার SIR-এর ঘোষণা হয়। পরিবারের দাবি, তারপর থেকে উনি অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে শুতে চলে যান নিজের ঘরে। সকালে ওঁর ভাইয়ের স্ত্রী অনেকবার ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। বাড়ির অন্য সদস্যেরা এবং প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। আমরা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পর মঙ্গলবার প্রদীপের মৃত্যুর ঘটনায় সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘পানিহাটির প্রদীপের মৃত্যুর জন্য দায়ী অমিত শাহ, জ্ঞানেশ কুমার। তাঁদের নামে এফআইআর হওয়া উচিত। প্রদীপের মৃত্যুর বদলা রাজনৈতিক ভাবে ভোটের মাধ্যমে নেওয়া হবে।’’ আজ তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর থাকবে।