ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার ৭ শতাংশ চাকরি খেতে পারে AI, জানাচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

October 12, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১৩: বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) সর্বশেষ রিপোর্টে স্পষ্ট সতর্কবার্তা যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) প্রযুক্তির দ্রুত বৃদ্ধিতে ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চাকরির নিরাপত্তা বড়সড় ঝুঁকির মুখে। মঙ্গলবার প্রকাশিত “South Asia Development Update, Jobs, AI, and Trade” শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ছ’টি দেশে প্রায় সাত শতাংশ চাকরি সরাসরি এআই-নির্ভর অটোমেশনের জন্য আগামীদিনে চলে যেতে পারে।

 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশেষত মাঝারি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ও তরুণ কর্মীদের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে। ব্যবসা পরিষেবা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য পেশাগত ক্ষেত্রে যারা যুক্ত, তাঁদের কাজ ক্রমে মেশিন ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে করে দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

 

বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলিতে প্রায় ১৫ শতাংশ চাকরি এখন অটোমেশনের ঝুঁকির মুখে। এই প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘জেনারেটিভ এআই’, এমন এক প্রযুক্তি, যা মানুষের নির্দেশ বুঝে নিজে থেকেই লেখা, ছবি বা অন্যান্য কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম। এই শ্রেণির মডেলগুলির মধ্যে রয়েছে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি (ChatGPT), অ্যানথ্রপিকের ক্লড (Claude), এক্স প্ল্যাটফর্মের গ্রক (Grok), গুগলের জেমিনি (Gemini), মাইক্রোসফটের কোপাইলট (CoPilot) এবং ডিপসিকের (Deepseek) মতো সিস্টেম।

 

বিশ্ববব্যাঙ্কের মতে, আগের যেকোনো প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের তুলনায় এআই অনেক বেশি সংখ্যক সাদা কলারের চাকরিকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে। গ্রাহকসেবা, হিসাবরক্ষণ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বেতন প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি কাজ ভবিষ্যতে মেশিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

 

ভারতের অর্থনীতির একটি বড় অংশই নির্ভর করে এই তথ্য ও পরিষেবা খাতের ওপর। ২০২৩ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট খাতে ভারতে প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ কাজ করেছেন, যা দেশের মোট উৎপাদনে ৭.৫ শতাংশ অবদান রেখেছে।

 

তবে রিপোর্টে আশার কথাও বলা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী এমন পেশায় যুক্ত, যেখানে এআই ব্যবহার কর্মক্ষমতা আরও বাড়াতে পারে। যেমন চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী বা উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, যাঁদের কাজ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, দায়িত্ব ও সিদ্ধান্তগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। তাঁদের ক্ষেত্রে এআই হতে পারে সহায়ক হাতিয়ার, প্রতিস্থাপন নয়।

 

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে, সঠিক পরিকল্পনায় বাণিজ্য সংস্কার ও বেসরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্য নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen