পরিষদীয় নেতার আসন থেকে শুভেন্দুকে সরাতে পারে বিজেপি? শুরু জল্পনা
শুভেন্দু ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে। শুভেন্দুকে আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি।
পরিষদীয় নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি? এবার এমনই দাবি করলেন, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে অধিকারী গড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সংবামাধ্যমগুলোর মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে ডেকে বলা হয়েছে, তিনি পরিষদীয় নেতা হয়ে বিধায়কদের ধরে রাখতে পারছেন না। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি লোকজনের সঙ্গে মিশছেন না। আর এর জেরেই দলের নেতা-মন্ত্রীরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। যদি বিধায়করা এভাবে বেরিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁকে এ কথা ডেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে’।
কুণালের সংযোজন, ‘ওঁদের নেতারাই এই খবর আমাদের দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রেই আমরা ওই বিষয়টি জানতে পেরেছি। শুভেন্দুরা সামনের দিকে তাকিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছেন না। ছায়াটাও আর ওঁদের সঙ্গে নেই’।
বিজেপির ভাঙন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল এদিন আরও বলেন, ‘ঘরের খবর দিয়ে দিচ্ছে বিজেপির লোকেরাই। ভাবুন তাহলে তাঁদের অবস্থা ঠিক কী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির আরও ২৫ জন বিধায়ক পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এসব দেখে মজা পাচ্ছি। শুভেন্দু-দিলীপবাবুদের সঙ্গে তাঁদের ওঠাবসা দেখি। ওঁদের বলে রাখা হয়েছে, এখন ওখানেই থাকুন। ঠিক সময় ডেকে নেওয়া হবে।তবে বর্তমানে দলে (বিজেপিতে) যা যা হচ্ছে, সেই খবর দিতে থাকুন’।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি তুলেছিলেন কুণাল। পাশাপাশি, শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সারদায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে তদন্তের থেকে বাঁচাতে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে বসে রয়েছে। সারদা মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
শুভেন্দু ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে। শুভেন্দুকে আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি। অবিলম্বে সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’
