পাটনার অভিজাত এলাকায় গুলিতে ঝাঁজরা ব্যবসায়ী, নীতীশ সরকারকে তোপ বিরোধীদের

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩৪: নামী ব্যবসায়ী ও বিজেপি নেতা গোপাল খেমকাকে (BJP Leader Gopal Khemka ) গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল, পাটনার অভিজাত গাঁধীময়দান এলাকা (Shot Dead In Patna)। রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ নিজের গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তেই তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায় বাইক আরোহী আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খেমকার।
ছ’বছর আগে ছেলের মৃত্যু হয়েছিল বাইকে আরোহী দুষ্কৃতীদের গুলিতে। এবার বাবারও মৃত্যু হল একই ভাবে। এদিকে গোপালের ভাই শংকরের অভিযোগ, খবর পেয়েও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেনি পুলিশ। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছন। শংকরের দাবি, রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ গাড়ি থেকে নামেন গোপাল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশ সেখানে আসে রাত আড়াইটেয়।
বছরের শেষেই বিহারে নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে নীতীশ সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ পাপ্পু যাদব ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। এদিকে আর আরজেডি নেতা ঋষি মিশ্রও বিহারের এনডিএ সরকারকে তোপ দেগে দাবি করেছেন, ”আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি নীতীশ সরকার তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কার্যতই অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ কোনও কাজ করছে না। কেবল নিজেদের বাড়তি উপার্জনের তাগিদে মদ ব্যবসায়ীদের ধরছে। মানুষ এই সরকারের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।”
খেমকা ছিলেন মাগধ হাসপাতালের কর্ণধার এবং ব্যাঙ্কিপুর ক্লাবের ডিরেক্টর। তাঁর বাসস্থান সংলগ্ন টুইন টাওয়ার আবাসনের সামনে, পনাশ হোটেলের লাগোয়া এলাকাতেই ঘটে এই নৃশংস হামলা। ঘটনার পরপাটনা সিটি এসপি দীক্ষা কুমারী জানান, ‘‘৪ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ গোপাল খেমকার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাই। এলাকা ঘিরে তদন্ত চলছে। একটি বুলেট ও একটি কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে।’’