Chandrayaan 5: যৌথ অভিযানে ভারত-জাপান, মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়
২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে এই মিশনের লক্ষ্য উৎক্ষেপণ। ইসরো এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জ্যাক্সা (JAXA) যৌথভাবে এই প্রকল্প পরিচালনা করবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৪৮: ভারতের মহাকাশ অভিযানে (Space Mission) যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। চন্দ্রযান-৫ মিশনে এবার সঙ্গী হচ্ছে জাপান। টোকিও সফরে গিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, ইসরো (ISRO) এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জ্যাক্সা (JAXA) যৌথভাবে এই প্রকল্প পরিচালনা করবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী (Japan PM) শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী জানান, “চন্দ্রযান-৫ মিশনে ভারত ও জাপানের সহযোগিতা শুধু বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নয়, মানবজাতির মহাকাশ অভিযাত্রার প্রতীক হয়ে উঠবে।”
২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে এই মিশনের লক্ষ্য উৎক্ষেপণ। এবার রোভারের আকারে বড় পরিবর্তন। চন্দ্রযান-৩ এর রোভার প্রজ্ঞান ছিল ২৫ কেজির। এবার তা বাড়িয়ে ২৫০ কেজি করা হচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, অতিরিক্ত প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পের সফলতা নিয়ে তারা আশাবাদী। সেই সঙ্গে, চন্দ্রযান-৪-এর প্রস্তুতির পাশাপাশি এবার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে শুক্র গ্রহের কক্ষপথে অভিযান।
চন্দ্রযান মিশনের পথচলা
চন্দ্রযান-১ (২০০৮): চাঁদের খনিজ ও রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
চন্দ্রযান-২ (২০১৯): ল্যান্ডার ব্যর্থ হলেও অরবিটার এখনও কার্যকর।
চন্দ্রযান-৩ (২০২৩): সফলভাবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ভারত ইতিহাস গড়ে।
চন্দ্রযান-৪: চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই অনুমোদিত।
ইসরো আগামী দশককে মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় সাফল্য দেখতে চাইছে।
২০২৮: ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনের (Bharatiya Antriksh Station) প্রথম মডিউল তৈরি শুরু হবে।
২০৩৫: সম্পূর্ণ কার্যকর হবে স্টেশন।
২০৪০: চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চন্দ্রযান-৫ এ জাপানের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা যোগ হলে মিশনের সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে। একই সঙ্গে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কও আরও দৃঢ় হবে।