ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেবভূম উত্তরাখণ্ড
সপ্তাহ দেড় আগে এই জেলারই ধারালি আচমকা হরপা বান আর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে বিধ্বস্ত হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১১: দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে ফের বিপর্যয়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ফের বিপর্যস্ত চামোলি জেলা। ভয়াবহ পরিস্থতি থারালি এলাকায়। সপ্তাহ দেড় আগে এই জেলারই ধারালি আচমকা হরপা বান আর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে বিধ্বস্ত হয়। এখনও সেখানে জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি।
এবার ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান চামোলিতে। যার জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বহু দোকানপাট, ঘরবাড়ি, একাধিক গাড়ি তছনছ। বেশ কিছু বাসিন্দার এখনও খোঁজ মিলছে না।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় চামোলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। যার জেরে লাগওয়ারা গ্রামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। থারালি বাজার, কোটদীপ এবং থারালি ব্লকের বহু এলাকা বালি, পাথর ও কাদায় ঢেকে গিয়েছে। শহুরে এলাকায় পার্কিংয়ে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। চেপদাঁও বাজার ও থারালি বাজারের অনেক দোকানে বালি-কাদা-জল ঢুকেছে। একাধিক রাস্তায় বালি-কাদা জমে পুরোপুরি বন্ধ।
থরালি এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বহু গাড়ি ভেসে গিয়েছে। স্থানীয় চেপদাঁও বাজারে এক জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। পরিস্থিতির উপর তিনি নিয়মিত নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন ধামী।
গত ৫ অগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার হর্ষিল উপত্যকায় ১২৬০০ ফুট উঁচু থেকে ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার গতিতে নেমে এসেছিল হড়পা বান। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট ভয়ানক সেই হড়পা বান ৩০ সেকেন্ডে ধরালী গ্রামের বেশির ভাগ গ্রাস করে নেয়। শুধু ধরালীই নয়, পাশের গ্রাম হর্ষিলের অনেকাংশই হড়পা বানের গ্রাসে চলে গিয়েছিল। ওই বিপর্যয়ে চার জনের মৃত্যু হয়। ৪২ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বহু মানুষকে উদ্ধারও করা হয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ৫ অগস্ট বিপর্যয়ের দিন, একটি নয়, পর পর ছ’টি হড়পা বান নেমে এসেছিল কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।