টলিউডে ব্যতিক্রমী দৃশ্য! পুজোয় বদলে গেল কোন কোন ছবির ভাগ্য?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২৫: এ বার পুজোয় টলিউডের প্রতিযোগিতা যেন চমকে দিয়েছে সকলকে। বক্স অফিসে যে দুই ছবি তেমন আলোচনায় ছিল না, তারাই ফিরিয়ে দিয়েছে আশার আলো! অনীক দত্তের ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সাত দিনে আনুমানিক ৭০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। অন্য দিকে, শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’ আয় করেছে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা।
যদিও এই অঙ্ক ‘রঘু ডাকাত’ বা ‘রক্তবীজ ২’-এর তুলনায় অনেকটাই কম, তবুও বাংলা ছবির বাজারে এ এক ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে- প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বা প্রদর্শন-সময় বাড়ালে কি ছবির আয় আরও বাড়ানো সম্ভব?
প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত জানান, “শো বাড়ালেই ব্যবসা বাড়বে, এমন নয়। কারণ শো বাড়লে খরচও বাড়ে। অনীকদার ছবি খুব ভাল চলছে ঠিকই, কিন্তু ‘রঘু ডাকাত’-এর মতো নয়। তাই দেবের ছবির শো কমবে না।” তাঁর মতে, দ্বিতীয় স্থানে এখন ‘রক্তবীজ ২’, ফলে এই দু’টি ছবির প্রদর্শন সময় যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তুলনায় ‘দেবী চৌধুরাণী’ কিছুটা পিছিয়ে, তাই আপাতত সে দিক থেকে নতুন করে ভাবছেন না তিনি।
একই সুর নটি বিনোদিনী হলের মালিক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, “আমার হলে চারটি ছবিই ভাল ব্যবসা করছে। কিন্তু শো বাড়াতে গেলে অন্য কোনও ছবিকে সরিয়ে দিতে হয়, সেটা তো সম্ভব নয়! মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়ানো তুলনামূলক সহজ।”
অর্থাৎ, একাধিক স্ক্রিন থাকা মাল্টিপ্লেক্সগুলিই এখানে ভরসার জায়গা হতে পারে। ইতিমধ্যেই ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের দাবি, “ছয়টি মাল্টিপ্লেক্সে শো বেড়েছে। বেলুড়, দুর্গাপুর, নিউটাউন, দক্ষিণ ও পূর্ব কলকাতায় সময় বাড়ানো হয়েছে।”
অন্য দিকে, শুভ্রজিৎ মিত্র বলেন, “সাধারণত ছবির ফলাফল দেখে প্রদর্শন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেন পরিবেশকরা। আমার ছবির পরিবেশক শতদীপ সাহা ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন।”
শতদীপ সাহার কথায়, “আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হলে আবেদন করেছি। মঙ্গলবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
অর্থাৎ, সব ছবির জন্য এক সূত্রে ফল মাপা যায় না। শো বাড়ানো মানেই ব্যবসা বাড়বে- এমন নিশ্চয়তা নেই। কখনও ছবির বিষয়বস্তু, কখনও মুখে মুখে প্রচারই বদলে দেয় ছবির ভাগ্য। এ বার পুজোয় সেই ব্যতিক্রমী চিত্রই যেন দেখছে টলিউড।