বাড়িতে বসেই বন্ধুরা খুললেন রেডিও স্টেশন

লকডাউনে সময় কাটাতে বন্ধুরা মিলে রেডিও চ্যানেল খোলার নজির বোধহয় একমাত্র এই শহর কলকাতাতেই আছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৬ মার্চ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কস্তুরী বসু, সুমিত দাস, দর্শনা মিত্রদের ভাবনাটা মাথায় খেলতে শুরু করে। তাঁরা কেউ শিক্ষক, কেউ গবেষক। কেউ আবার তথ্যচিত্র নির্মাতা।

May 10, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

লকডাউনে সময় কাটাতে বন্ধুরা মিলে রেডিও চ্যানেল খোলার নজির বোধহয় একমাত্র এই শহর কলকাতাতেই আছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৬ মার্চ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কস্তুরী বসু, সুমিত দাস, দর্শনা মিত্রদের ভাবনাটা মাথায় খেলতে শুরু করে। তাঁরা কেউ শিক্ষক, কেউ গবেষক। কেউ আবার তথ্যচিত্র নির্মাতা। 

গত ২৩ মার্চ দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউন ঘোষণার পরই রেডিও চ্যানেল শুরু করার বিষয় মনস্থির করে ফেলেন তাঁরা। নাম দেওয়া হয় ‘রেডিও কোয়ারান্টিন কলকাতা’। এটা ইন্টারনেট রেডিও চ্যানেল। মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে শুধু। 

রেডিও কোয়ারান্টিন কলকাতা

গুগলে গিয়ে রেডিও চ্যানেলের নাম দিয়ে খুঁজলেই শোনা যাবে গান, কবিতা, আলোচনা এবং আরও কত কিছু। গোড়াতে তারা ভেবেছিল, বিশেষ সাড়া মিলবে না। কেনই বা হঠাৎ সবাই তাঁদের নতুন রেডিও চ্যানেলটি খুলে বসে থাকবে অন্য কাজ ফেলে? সেক্ষেত্রে পাঁচ-সাত দিনের বেশী এই ইন্টারনেট রেডিয়ো চ্যানেলটির আয়ু হওয়ার কথা ছিল না। 

কিন্তু সাধারণ মানুষের কোয়ারান্টিন জীবনের মেয়াদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই রেডিও চ্যানেলটির জনপ্রিয়তা। ৫৩টি দেশ থেকে শ্রোতারা তাঁদের চ্যানেলটি ‘ফলো’ করছেন। নিয়মিত শ্রোতার সংখ্যা এক মাসে দশ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডার বাঙালীদের মধ্যে এই ইন্টারনেট রেডিয়ো চ্যানেলটি সব থেকে বেশী সাড়া ফেলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen