জমজমাট মাটি উৎসব, দেদার বিক্রিবাটায় খুশি শিল্পীরা

গত ৯ফেব্রুয়ারি উৎসবের সূচনা হয়েছিল। আজ, সোমবার পর্যন্ত উৎসব চলছে।

February 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বর্ধমানের মাটিতীর্থ কৃষিকথা উৎসব প্রাঙ্গণে মাটি উৎসব (Mati Utsav) জমে উঠেছে। রবিবার ছুটির দিনে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যা এই উৎসবের ক্যাচলাইন ‘মাটির টানে প্রাণের উৎসব’কে সার্থক করেছে। গত ৯ফেব্রুয়ারি উৎসবের সূচনা হয়েছিল। আজ, সোমবার পর্যন্ত উৎসব চলছে। খুশি এই উৎসবে আসা হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী (Artists) থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত চারাগাছ ও বীজ বিক্রেতারা।

করোনা পর্ব কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর ফের উৎসবে শামিল হতে পারে খুশি অনেকে। এই উৎসবে বিক্রি-বাটা ভালো হওয়ায় খুশি শিল্পীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিল্পীদের হাতের তৈরি রকমারি সামগ্রী কিনতে পেরে খুশি উৎসবে আসা মানুষজন। সঙ্গে কৃষিকাজ নিয়ে সরকারি মঞ্চে এবং বেশ কিছু স্টলে বিস্তারিত আলোচনা এখানে আসা চাষিদের উৎসাহিত করেছে। প্রসঙ্গত, এবার মেলায় ২০০টি স্টল হয়েছে। যেখানে চিত্রপট, বস্ত্র, সিংয়ের তৈরি চিরুনি, বাঁশি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি গবেষণা কেন্দ্রের স্টল থেকে খাদ্যশস্যের বীজ, তুলাইপাঞ্জি, গোবিন্দভোগ, কালো নুনিয়া, সাটিয়া চাল, নলেন গুড়, মধু বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রকল্পের স্টল রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্টলে জমিয়ে খাচ্ছেন অনেকে।

এদিন বহু উৎসাহিত মানুষজনকে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের স্টলে মুরগি, ছাগল, কোয়েল, টার্কির খাঁচার সামনে দেখা যায়। কারণ এগুলি প্রতিপালন করে কীভাবে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয় মেলা প্রাঙ্গণে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা পটচিত্র শিল্পী রতন চিত্রকর ও সুষমা চিত্রকর বলেন, এবছর ভালো বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে পটচিত্র আঁকা টি-শার্ট, কাঠের ট্রে, কুর্তি, কেটলি বেশি বিক্রি হয়েছে।

মাদুরও দেদার বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মাটির তৈরি কাপ, প্লেট, ফুলদানি, ধুপদানিও এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের শিল্পী মহাদেব গায়েন বলেন, করোনার জন্য মেলায় ভিড় হবে কিনা বা শিল্পকর্মগুলি বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কিন্তু মেলা শুরু হতে সেই চিন্তা কেটেছে। উল্টে যা এনেছিলাম তার বেশিরভাগটাই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে এই কুটিরশিল্প অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সঙ্কট কাটিয়ে এই শিল্প ফের ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। রাজ্য সরকার এব্যাপারে এগিয়ে আসায় আমাদের সুবিধা হচ্ছে। মেলায় আসা বর্ধমান শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ড্রাই ফুল দিয়ে ঘর সাজানোর কিছু সামগ্রী কিনলাম। এবার খুব সুন্দরভাবে মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে। ভালো লাগছে।  নিজস্ব চিত্র

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen