Bengali-speaking migrant workers: মুখ্যমন্ত্রীর চাপে বাংলার ৩০ শ্রমিককে মুক্তি দিল হরিয়ানা
বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল হরিয়ানা পুলিশ। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই কর্মসূত্রে হরিয়ানা গিয়েছিলেন তাঁরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:২০: বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল হরিয়ানা পুলিশ। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই কর্মসূত্রে হরিয়ানা গিয়েছিলেন তাঁরা। বর্তমানে তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে অত্যাচারেরও শিকার হচ্ছিলেন তাঁরা। ওইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের নাগরিকত্বের নথি চেয়ে হরিয়ানা থেকে রাজ্য পুলিশের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল।
যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী পোস্ট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর এমন ‘অত্যাচার’ বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। লাগাতার এনিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই চাপের মুখেই এবার কার্যত নতি স্বীকার করল হরিয়ানা সরকার। সেখানকার ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে থাকা ৩০ জন, যাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল, তাঁদের এবার মুক্তি দেওয়া হল। তাঁরা গুরুগ্রাম থেকে শিগগিরই মালদহে, বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন বলে খবর।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের উপর অত্যাচারের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ এসেছে সম্প্রতি। বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি’ বলে দেগে দিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। স্রেফ সন্দেহের বশে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা আদৌ বাংলার বাসিন্দা কিনা, তা জানতে নথিও চাওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে। এসব অভিযোগ পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা ‘বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।