‘স্মরণীয় মধ্যাহ্নভোজ’, নিউ ইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানি মজলেন বাঙালি খাবারে

November 6, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:২৬: মাত্র ৩৪ বছর বয়সের মেয়র পেয়ছে নি‌উ ইয়র্ক সিটি। ভারতীয়-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। তিনি শুধু নিউ ইয়র্কের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রই নন, তিনি প্রথম মুসলিম এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবেও ইতিহাস গড়েছেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে কেমনভাবে শুরু হল তাঁর প্রথম দিন? দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করলেন মামদানি।

বাংলার আলুর দম আর মোমো দিয়ে শুরু হল তাঁর নতুন যাত্রা। এভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পথচলা হবে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই। সেই যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ।

জ্যাকসন হাইটসের লালিগুরাস বিস্ট্রোতে মধ্যাহ্নভোজে বসেছিলেন মামদানি, সঙ্গে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ। খাবারের টেবিলে ছিল টিংমো, মোমো, আলুর দম। যেন নিউ ইয়র্কের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল ভারতীয় উপমহাদেশের গন্ধমাখা রান্নাঘর। আলুর দমের কামড়ের ফাঁকে ফাঁকে উঠে এল ডেমোক্র্যাটদের অন্দরের প্রজন্ম পরিবর্তনের প্রসঙ্গ, শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্ন, শহরের ভবিষ্যতের রূপরেখা।

এক্স (X) হ্যান্ডেলে মামদানি লেখেন, “আপনাদের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে প্রথম ব্যস্ত দিন: ভোরে সাক্ষাৎকার, পরিবর্তনের ঘোষণা এবং সভা।আগামীকাল এই বিষয়ে আরও কিছু বলার আছে। তবে জ্যাকসন হাইটসের লালিগুরাস বিস্ট্রোতে কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ছিল স্মরণীয়।” তাঁর পোস্টের ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, প্লেটে আলুর দম- আর সেই ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে নেটিজেনদের উচ্ছ্বাস। কেউ রেসিপি শেয়ার করছেন, কেউ নিজেদের রান্নার গল্প বলছেন, কেউ আবার বলছেন- “এই তো আমাদের খাবার, আমাদের মেয়র!”

মামদানির প্রচার থেকেই স্পষ্ট ছিল, তিনি শহরের সেই মুখ, যিনি নিউ ইয়র্ককে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তে আনতে চান। তাঁর প্রথম দিনের খাবারও যেন সেই বার্তার প্রতীক।

কর্টেজও তাঁর পোস্টে মামদানির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লেখেন, “আমাদের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে শহরের সেরা মোমো খাওয়া সম্মানের। শিশুদের যত্ন থেকে বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত, নিউ ইয়র্ককে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করাই আমাদের লক্ষ্য।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen